এক যুগ পর গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) বৈঠক বসেছে। এতে ঢাকার পক্ষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির-বিন আনোয়ার নেতৃত্ব দেন। নয়াদিল্লির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব পঙ্কজ কুমার। প্রসঙ্গত, আগামী ৫-৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফর করবেন। তার এই সফরের আগে জেআরসি বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব বহন করছে।
সূত্র জানিয়েছে, সচিবপর্যায়ের বৈঠকে দুদেশের অভিন্ন ৫৪টি নদীর অমীমাংসিত ইস্যু, সিলেট অঞ্চলে কুশিয়ারা থেকে পানি উত্তোলন, ফেনী নদীর পানি ত্রিপুরায় ব্যবহার, মনু, ধরলা, খোয়াই, গোমতী, মুহুরী ও দুধকুমার নদীর পানিচুক্তি, গঙ্গা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া চলতি বর্ষা মৌসুমে দুদেশের অভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি ও বন্যা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হবে। ওই দিন বাংলাদেশের পক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লি গেছে।
যৌথ নদী কমিশনের এ বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বাংলাদেশ। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরের আগে ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন নদীর বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন নদীর জলসম্পদ বণ্টন, সেচ ও বন্যা এবং এই জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যৌথভাবে মোকাবিলা করতে ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে সমঝোতার মধ্যে দিয়ে গঠিত হয় যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)। সবশেষ ২০১০ সালে জেআরসি বৈঠক হয়েছিল।