।। নিউজ ডেস্ক ।।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সেপ্টেম্বর থেকে রাজপথে থাপ্রকাশিত: ০০:২৪, ২৫ আগস্ট ২০২২কার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ রাষ্ট্রে সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। আপনারা প্রস্তুত, আমরাও প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ জয় আমাদের সুনিশ্চিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের অধীনে এদেশে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির ঐক্যের জয় হবে।
বুধবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৪ দলের নেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আকতার, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগর ১৪ দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, নির্বাচন বানচালের নামে আমরাও কিন্তু নির্বাচনের বিরোধিতা করেছি। এই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলনের সৃষ্টিকর্তাই হচ্ছেন শেখ হাসিনা। এই দেশে সঠিক ভোট ব্যবস্থা প্রবর্তনের মালিক হচ্ছেন শেখ হাসিনা। আজকে যে ভোট ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে এগুলো তো তাঁর ( শেখ হাসিনা) প্রস্তাবে হয়েছিল। সেই আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন খালেদা জিয়াও। সেদিন তিন জোটের রূপরেখা পরিষ্কারভাবে ছিল তিনটি টার্মের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে। কিন্তু খালেদা জিয়া সরকারে আসার পর তারা সেটা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলনের দাবিতে তৎকালীন সময়ে খালেদা জিয়ার সেই বক্তব্য ‘এই দেশে পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ বলতে কিছু নাই’ উল্লেখ করে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক বলেন, আজকে তারা যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে তাহলে তাদের কাছ থেকে কেন জানতে চাইব না? দেশে শিশু আর পাগলের তালিকাটা কি? যাদের নিয়ে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে চান?
নির্বাচন বানচালের নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসের সমালোচনা করে আমির হোসেন আমু বলেন, জনগণ আপনাদের আন্দোলনে সাড়া দেয়নি বলে জনগণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের হত্যা করছিলেন। নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছিলেন। দেশে-বিদেশে ধর্ণা দিয়েছিলেন। জাতিসংঘে ধর্ণা দিয়েছিলেন। তারা এসেছিল আলোচনা করেছিল। কিন্তু তারপরও অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়েছে। বিএনপিকে উদ্দেশ করে স্পষ্টভাষায় আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই যত ষড়যন্ত্রই করেন বা যত জায়গায় ধর্ণা দেন কেন, যে যে কথাই বলুক না কেন; বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবেই ইনশাল্লাহ।