অবৈধ-অনিবন্ধিত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারও দেশজুড়ে শুরু হয়েছে অবৈধ-অনিবন্ধিত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে কঠোর অভিযান।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ আহমেদুল কবিরের নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সোমবার একযোগে অভিযান পরিচালিত হয়। প্রথম দিনের অভিযানে রাজধানীতে ৮টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডাঃ আহমেদুল কবির।
সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডাঃ বেলাল হোসেন জানান, বন্ধ করে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে খিলগাঁও জেনারেল হাসপাতাল, সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতাল, মাতুয়াইলের কনক জেনারেল হাসপাতাল, যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার সালমান হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বকশীবাজারে খিদমাহ লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চাঁনখারপুলের ঢাকা জেনারেল হাসপাতাল, বনানীর হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কসমেটিক সার্জারি কনসালট্যান্সি এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ঢাকা পেইন এ্যান্ড স্পাইন সেন্টার।
এদিন দুপুরে বনানীর হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট এ্যান্ড কসমেটিক সার্জারি সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযানকালে অধ্যাপক ডাঃ আহমেদুল কবির বলেন, এখানে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট, লেজার ট্রিটমেন্ট, ফিজিওথেরাপিসহ চুলের নানা চিকিৎসা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা নাকি জানতেন না যে লেজার ট্রিটমেন্টের জন্য অধিদফতরের অনুমোদন দরকার।
এ জন্য আমরা এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছি। এ ছাড়াও এখানে ভারতের চিকিৎসক ডাঃ মনোজ খান্না লেজার ট্রিটমেন্ট চিকিৎসা দিয়ে থাকেন বলে ছবি লাগানো হয়েছে। কিন্তু ওই চিকিৎসক এখানে চিকিৎসা দিতে আসেন না। এ সময় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট এ্যান্ড কসমেটিক সার্জারি সেন্টারের কর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা জানতাম না যে লেজার ট্রিটমেন্টের জন্য অনুমোদন লাগবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে এখানে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের পরিবেশ নেই।
এর আগে রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে আবারও জোর অভিযানের কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডাঃ আহমেদুল কবির বলেছিলেন, প্রথম দফায় অভিযান পরিচালনা শেষে এখনও অসংখ্য অবৈধ বেসরকারী ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়ে গেছে। আবারও কঠোর অভিযান পরিচালনা করব।