পূর্ব তিমুর এবং হাইতিতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের যে উচ্চ পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধ তিনি দেখেছেন তা উল্লেখ করেন জাতিসংঘের পুলিশ প্রধান। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মালি ও ডিআর কঙ্গোতে কর্তব্যরত বাংলাদেশী পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বেরও কথাও তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে আসছে, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের যে কোনো প্রয়োজনে সাড়া দিতে বাংলাদেশ পুলিশ সদা প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকার ঝুঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষ ও পেশাদারী বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েনের অনুরোধ জানান আইজিপি। এক্ষেত্রে তিনি সোয়াট, ক্যানাইন, রিভারাইন, গার্ড পুলিশ এবং ফরেনসিক ইউনিটসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েনের কথা বলেন।
জাতিসংঘ পুলিশের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ আয়োজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা তুলে ধরেন বেনজীর আহমেদ। জাতিসংঘ সদরদপ্তর এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে উচ্চপদে বাংলাদেশী পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগের অনুরোধ জানান আইজিপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসডিজি বাস্তবায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন আইজিপি। শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবারাহের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: সাদেকুজ্জামান ও পুলিশ সদরদপ্তরের ওভারসিজ এন্ড ইউএন অপারেশন শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিয়ান ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন।