যে কোনো অপশক্তিতে রুখে দিতে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশের মাটিতে আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা এসবকে কখনোই প্রশ্রয় দেননি। কিন্তু এই অপশক্তি এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে।তাই যে কোনো অপশক্তিতে রুখে দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকতে হবে। এখন’তারা পল্টনে বসে হুংকার দেয়, তাদের এই হুংকার গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেলের মতো। তাদের হুংকারে জনগণ ভয় পাবে না। এই বাংলার জনগণ তাদের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির কথা ভুলে নাই। আবার কোনো দেশবিরোধী কাজ করতে আসলে জনগণই তাদের ঠেকাবে। ‘
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ওয়ারী থানা এবং ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমরা এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় পার করছি। বাংলাদেশের বুকে কিছু অপশক্তি ঘাপটি মেরে বসে আছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে। আমাদের এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এই অপশক্তিই গ্রেনেড হামলা করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারা আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। এখন তারাই আবার গণতন্ত্রের কথা বলে বেড়ায়। ‘
তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন একটি রোডম্যাপ দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সকলকে নির্বাচনে আসতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী দেশে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কোনো হাঁকডাক দিয়ে লাভ হবে না। ‘
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের টার্গেট নিতে হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সারা দেশে আমাদের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের খুঁটি মজবুত করতে হবে। ৭৫-এ আমাদের ব্যর্থতার জন্য খুনিরা সফল হয়েছিল। কিন্তু খুনি চক্রকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। যেখানে ওরা ষড়যন্ত্র করবে সেখানেই প্রতিহত করতে হবে। ‘
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে কে কার প্রার্থী সেটা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাকে মনোনয়ন দিবে সেটি হচ্ছে বিষয়। কোনো নেতাকে আমার পছন্দ, কে আমার পছন্দের বাইরে, সে সব বিষয় দেখলে হবে না। আমাদের দেখতে হবে দল কাকে মনোনয়ন দিয়েছে, দল কাকে নৌকা দিয়েছে তাকে বিজয়ী করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ‘
তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সংগঠন মজবুত থাকে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যতগুলো কমিটি হবে প্রত্যেকটা কমিটিতে যোগ্য নেতাকে পদে রাখতে হবে। যোগ্য নেতারা পদে থাকলে জাতীয় নির্বাচনে কেউ কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারবে না। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। ‘
ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান লাভলুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহিসহ প্রমুখ।