সদ্য প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষ কৃত্যে এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় লন্ডন স্টানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
এর আগে এদিন বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (রাহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা।
এ ছাড়া শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। পাশাপাশি রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে রাজার এক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশ নেবেন। একই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
এরপর মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তিনি ইউএনএইচসিআর-এর শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংবর্ধনায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র ও জাতিসংঘ আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ (বাংলায়) দেবেন। ওয়াশিংটন থেকে ২ অক্টোবর রওনা হয়ে লন্ডনে যাত্রাবিরতি দিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর রাতে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।