আমিষের প্রধান উৎস ডিমের দাম ফের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে । রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি ডজন ডিম মানভেদে ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম ২৫-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে । এতে করে প্রতি ডিমে দাম ২ থেকে আড়াই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে । ফলে বাজারে আবার অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। ডিমের পাশাপাশি ব্রয়লার ও দেশী মুরগির দাম বাড়তে শুরু করেছে । প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৮৫, পাকিস্তানী লাল লেয়ার ৩২০-৩৩০ এবং কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে।
সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে ডিম আমদানি করা হতে পারে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডিমের দাম বেড়ে গেলে ভারত থেকে আমদানি করার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ওই সময় তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে ডিম আমদানি করা হবে। টিপু মুনশির ওই ঘোষণার পরই কমতে শুরু করে ডিমের দাম। কিন্তু এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় দাম কমাতে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ডিমের দামের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেলে আমদানিতে যেতে হবে। এদিকে, খামার থেকে বাজারে আসতেই ডিমের দামে আকাশ-পাতাল ফারাক। সপ্তাহ ব্যবধানে ডজনে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা। কারণ হিসেবে সরবরাহ সঙ্কট দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা। এদিকে খাদ্যের দাম বাড়ার দাবি খামারিদের। তবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে পোল্ট্রি ফিডের দাম খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ৫ দিন আগেও খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিম ১১০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও এখন পাইকারিতেই এ দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় কিনতে হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। এতে করে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিক্রেতাদের মুখে সরবরাহ সঙ্কটসহ নানা অজুহাত। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম, খাদ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে ডিমের সরবরাহ কমে দাম বেড়ে গেছে।