দেশের বাজারে আবারও বাড়ছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। এ জন্য এই খাতের বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন। আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সংগঠনটির নেতারা। এ জন্য পোলট্রি বোর্ড গঠন ও তার মাধ্যমে পণ্যের দাম নির্ধারণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারাসংবাদ সম্মেলনে পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, বড় কোম্পানিগুলো ফার্মের মুরগি ও ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি বলেন, দফায় দফায় মুরগির খাবারের দাম বাড়ছে। কিন্তু খামারিরা যখন পণ্য বিক্রি করতে যাচ্ছেন, তখন ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তাই প্রান্তিক খামারিদের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে অনেক ছোট খামারি ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৯ সালে দেশে মুরগি ও ডিম উৎপাদন করে, এমন খামার বা ফার্মের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬০ হাজার। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার বলেন, কোম্পানিগুলো একটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা ২৫-৩০ টাকায় উৎপাদন করে। আর বিক্রি করে ৪০ টাকায়। এতে খামারিরা মুরগি পালন করে পোষাতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে পোলট্রি শিল্পের চলমান সংকট নিরসনে পোলট্রি বোর্ড গঠনের প্রস্তাবের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, প্রান্তিক খামারিদের জন্য প্রাণিসম্পদের লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স বা ব্যবসার সনদসহ অন্যান্য সনদ প্রাপ্তি সহজ করা, খামারিদের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করা, খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান, খামারিদের বিমার আওতায় আনা ও ডিম সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপনের দাবি জানানো হয়।
previous post