Home মত-দ্বিমত সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অক্টোবরে যুগপৎ আন্দোলন

সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অক্টোবরে যুগপৎ আন্দোলন

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel
সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অক্টোবরে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার ছক কষছে । বিএনপির নেতৃত্বে ডান, বাম ও মধ্যপন্থী প্রায় আড়াই ডজন দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে সরকারকে চাপে ফেলতে এবার আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নামতে চায় । এ জন্য তাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষপর্যায়ে। যুগপৎ এ আন্দোলন দেশের সব রাজনৈতিক দলের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও কৌশলগত কারণে জামায়াত আপাতত ফ্রন্টলাইনে থাকছে না ।         এখনও রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচী জোরদার করতে না পারলেও ১০ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ১৭ দিনব্যাপী সমাবেশ কর্মসূচী ও তার আগে সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে লাগাতার সমাবেশ কর্মসূচীর মাধ্যমে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। সেই সঙ্গে ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোসহ প্রায় ৩০টি সমমনা দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচী নিয়ে যাবতীয় আলাপ-আলোচনা সেরে নিচ্ছেন বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা। চলতি মাসের মধ্যে আলোচনা সেরে নিয়ে অক্টোবরে আন্দোলন শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান নেতারা।  
২০০১ সালের আগে চারদলীয় জোট করে যেভাবে রাজপথ দখলে রেখে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় লাভ করে বিএনপি জোট, সেভাবে আন্দোলন করতে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। যুগপৎ আন্দোলনের জন্য বিএনপি এ পর্যন্ত যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে তার মধ্যে রয়েছে- আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলন, সাইফুল হকের নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ, কর্নেল (অব) ড. অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি, মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বাধীন কল্যাণ পার্টি, মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), এ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকিবের নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট, মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), এ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ-ভাসানী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, খন্দকার লুৎফর রহমানের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), এ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), কাজী আবু তাহেরের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), আবু তাহের চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ইসলামিক পার্টি, রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল, সাইফুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক লীগ, এ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ পিপলস লীগ, এ্যাডভোকেট  সৈয়দ এহসানুল হুদার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় দল ও এলডিপি (করিম-সেলিম)।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আগে বলেছিলেন জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ করবেন। তবে, কৌশলগত কারণে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রকাশ্যে সংলাপ না করলেও গোপনে কথা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া যুগপৎ আন্দোলন জাতীয় পার্টি (এরশাদ), ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বিজেপি, শরীফ নূরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন জাসদ,  জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাপ ও কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গেও প্রকাশ্যে সংলাপ করতে চায় বিএনপি। তবে, ইতোমধ্যেই এসব দলের নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের যুগপৎ আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানা যায়।   
সূত্র জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে আপাতত বিএনপির জোট সঙ্গী জামায়াত ফ্রন্ট লাইনে থাকছে না। জামায়াতকে ফ্রন্টলাইনে রাখলে বিতর্ক হবে- এমন ভাবনা থেকে গোপনে যোগাযোগ রেখে তাদের আন্দোলনে সক্রিয় রাখার কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। তবে, যুগপৎ আন্দোলনে যেসব কর্মসূচী দেয়া হবে, সেসব সফল করতে জামায়াত অন্যান্য দল থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে স্বকীয় অবস্থান বজায় রেখে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে সক্রিয় থাকবে। সারাদেশে জামায়াতের নেতাদের এমন ম্যাসেজ দিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিএনপি বা অন্য কোন সমমনা দল আন্দোলনের বিষয়ে কথা না বললেও গোপনে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে বলে জানা যায়।
 
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, আমরা একমঞ্চে নয়, যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলছি। সকল রাজনৈতিক দল নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যুগপৎ আন্দোলনে সব দলের জন্যই দরজা খোলা। তাই বুঝে নিতে হবে, এ আন্দোলনে জামায়াত অংশ নেবে কি না।
আন্দোলন জোদরদারে দেশে-বিদেশে বিএনপির সকল ইউনিটকে সক্রিয় করার পাশাপাশি ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিক এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের সঙ্গে লবিং জোরদার করা হচ্ছে। তবে, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে এখনও সম্পর্ক উন্নয়ন করতে না পারলেও বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।  আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা যুগপৎ আন্দোলনের জন্য সবাইকেই আহ্বান জানিয়েছি। রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সংগঠন যারাই এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা আন্দোলন করব। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি এবং দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকার হটাতে শীঘ্রই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করা হবে।  সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকায় লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলটির সকল কার্যক্রম চলছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বছরখানেক আগে থেকেই বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ওপর লন্ডন থেকে চাপ আসছে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় বেকায়দায় থাকা দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরাও কঠোর আন্দোলনের জন্য দলীয় হাইকমান্ডকে চাপ দিয়ে আসছে। সূত্র মতে, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির প্রতিবাদে বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যে আন্দোলন কর্মসূচী চলছে, তার পাশাপাশি এ মাসের শেষদিকে রাজপথের কর্মসূচী আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবে বিএনপি।  সংবিধান অনুসারে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তফসিল ও ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।  তাই এ নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখেই বিএনপি সমমনা দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করার ছক কষছে। এবার আন্দোলনে নামার আগে অতীতের আন্দোলনের কথাও স্মরণে রাখছে। এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির একটি অংশ কঠোর আন্দোলন শুরুর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কৌশলগত কারণে তিনি নিজেই কঠোর আন্দোলন চাননি।  কারাবন্দী হওয়ার পর বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া আত্মীয়-স্বজন, দলের নেতা ও আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করেন। আর এ কারণেই খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে একটি পক্ষের কঠোর আন্দোলনের চাপ থাকলেও বিএনপি দায়সারা আন্দোলন কর্মসূচী পালন  করে। তবে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এবার নতুন উদ্যমে বিভিন্ন দলকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করার প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।  আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে ১৯৯৯ সালের ৬ জানুয়ারি জামায়াত, বিজেপি ও ইসলামী ঐক্যজোটকে নিয়ে চারদলীয় জোট গঠন করে বিএনপি। জোটগতভাবে নির্বাচন করে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে বিএনপি।  তবে, ওই সরকারে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদকে মন্ত্রিত্ব দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে বিএনপি। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে চারদলীয় জোটের কলেবর বাড়িয়ে ১৮ দলীয় জোট করে বিএনপি। ১৮ দলীয় জোটে বিএনপি ছাড়া অন্য শরিক দলগুলোর মধ্যে ছিল জামায়াত, বিজেপি, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, জাতীয় জাগপা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ ভাসানী, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, পিপলস লীগ ও ডেমোক্রেটিক লীগ।  পরে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও সাম্যবাদী দলের একাংশ এই জোটে যোগ দিলে তা ২০ দলীয় জোটে পরিণত হয়। আর ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর গণফোরাম, জাসদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্যকে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ভাগে পাওয়া ২৮১টি আসনের মধ্যে বিএনপি ২০ দলীয় জোটে থাকা জামায়াতসহ কয়েকটি শরিক দলকে ছেড়ে দেয় ৪০টি আসন। এর মধ্যে ২৫টি আসন দেয় জামায়াতকে। তবে, জামায়াতকে ছেড়ে দেয়া ২৫টি সংসদীয় আসনের নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীরা ছিল একেবারেই নিষ্ক্রিয়। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল বিএনপি ছয়টি ও গণফোরাম দুটি আসন পেলেও জামায়াত কোন আসন পায়নি।  ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতা হারানোর পর টানা দুই বছর রাজনৈতিকভাবে চরম বৈরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বিএনপি। এ সময় দলের অনেক সিনিয়র নেতাকে বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে জেলও খাটতে হয়। তবে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুর্বল বিরোধী দল হিসেবে সংসদে যাওয়ার সুযোগ পায় তারা। কিন্তু ২০১৩ সালে ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে নেতিবাচক আন্দোলন কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে আবারও কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে বিএনপি। বিএনপির এ নাজুক পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এ নির্বাচন বয়কট করে ফের সংসদের বাইরে এবং ক্ষমতা থেকে অনেক দূরে চলে যায় বিএনপি।  ২০১৫ সালে টানা ৯২ দিন হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে জ্বালও-পোড়াও করে দেশে-বিদেশে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে দলটি। তাই একপর্যায়ে আন্দোলন থেকে পিছু হটে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করে নির্বাচনে অংশ নিলেও মাত্র ছয়টি আসন পায় বিএনপি। তাই সংসদের- ভেতরে-বাইরে সরকারকে চাপে ফেলার মতো কিছু করতে পারেনি। তবে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে নতুন উদ্যমে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।   এ ব্যাপারে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান জানান, শীঘ্রই যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচী আসবে। আমরা সবাই রাজপথে থেকে এ কর্মসূচী সফল করব। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য এ আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। শীঘ্রই আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হবে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের স্বার্থে সবাইকে এ আন্দোলনে অংশ নিতে হবে। ইস্পাতকঠিন ঐক্য সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এ জন্য সবাইকে আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় থাকতে হবে। 

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment