আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশীদের কাছে নালিশ আর প্রকাশ্যে বিভিন্ন দূতাবাসে সাহায্য চাওয়া বিএনপির মেরুদন্ডহীন রাজনীতির সুস্পষ্ট বহির্প্রকাশ। বিএনপি দেশকে পরনির্ভরশীল ও নতজানু দেখতে ও তাঁবেদার হয়ে থাকতে চায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চায় দেশকে মর্যাদাশীল ও সমৃদ্ধ অবস্থানে উন্নীত করার।গতকাল রবিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশ পরিচালনায় নতজানু হওয়ার নজির আওয়ামী লীগের নেই, বিএনপির রয়েছে। বিএনপিই নতজানু, ভঙ্গুর ও পরনির্ভর একটি রাজনৈতিক দল। তারা কথায় কথায় দেশের বিরুদ্ধে বিদেশীদের কাছে নালিশ করে আর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশীদের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করে।
সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় শুরুতেই বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে জবাব চেয়েছিল এবং এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। তখন মিয়ানমার জানিয়েছিল মর্টার শেলটি ভুলক্রমে বাংলাদেশের সীমানায় গিয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে তারা সতর্ক থাকবেন বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আবারও একই ঘটনা ঘটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন ও প্রটোকলের আলোকে খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনা মিয়ানমারের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ফলে ভুলক্রমে ঘটেছে, নাকি উস্কানিমূলক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে নিজের অস্তিত্বের মতো। বাংলাদেশ চায়, যে কোন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নানান অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ এখনও বিএনপির উপর ক্ষুব্ধ। তারা আবারও সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উস্কানি দিচ্ছে এবং উস্কানি দিচ্ছে পুলিশকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা একদিকে বলছে তাদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না, আবার যখন সুযোগ পায় তখন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন না করে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিচ্ছেন। পুলিশকে আক্রমণের টার্গেট করে নিয়েছে। তিনি বিএনপিকে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার দফতরে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিস্কি। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে সড়ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাতকালে বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং দু’দেশের মধ্যকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়েও আলোচনা হয়।