শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু গতকাল পার্লামেন্ট মেম্বারস্ ক্লাব সভাকক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিশু সুরক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ এবং তার ব্যয় নির্বাহে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শিশুদের জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকলেও তার নির্দিষ্ট কোন রূপরেখা না থাকায় বরাদ্দকৃত বাজেটের অর্থ যথাযথ ব্যয়ের ক্ষেত্রে নান রকম জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। এ ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট শিশু বাজেট প্রণয়ন হলে বাজেটের পরিকল্পিত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও সহজ হতো। শিশু সুরক্ষায় রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় নিছক কোনও ব্যয় নয়, বিনিয়োগ। আজকের এই সব শিশুরাই দেশ ও জাতি গঠনে একদিন দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখবে।
এসময় তিনি শিশুদের সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দেশি বিদেশি স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনের ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য সর্বদা আন্তরিক ছিলেন। একজন শিশুর উন্নত ভবিষ্যৎ কিভাবে গড়ে উঠবে, প্রবীণ নাগরিকগণ কিভাবে সমাজে মর্যাদার সাথে থাকবেন, নারী কিভাবে জাতি গঠনে অনন্য ভুমিকা রাখবে- এসব বিষয়ে তাঁর একটি সু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিলো। তাঁর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পুরণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার সরকার একটি শিশু বান্ধব সরকার।
সভায় আরো বক্তৃতা করেন ককাসের কো-চেয়ারম্যান আরমা দত্ত, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, জাকিয়া তাবাসসুম, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, তামান্না নূসরাত বুবলি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, কাজী কানিজ সুলতানা, অপরাজিতা হক ও আবিদা আনজুম মিতা, ইউনিসেফ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শেলডন ইয়েট, প্রজন্ম সংসদের সদস্য রাশিদুল আলম প্রমূখ।
সূচনা বক্তব্য উত্থাপন করেন ইউনিসেফ প্রতিনিধি আশিক ইকবাল।