বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে । এ লক্ষ্য পূরণে যে কোনো পরিস্থিতি এবার মাঠেই মোকাবিলা করবে দলটি। গড়ে তোলা হবে শক্ত প্রতিরোধ। হামলা হলে পালটা আঘাত। কেন্দ্র থেকে সারা দেশের নেতাকর্মীদের কাছে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।
তারা আরও জানান, গত এক মাস ধরে সারা দেশের নেতাকর্মীরা প্রতিদিন মার খেয়ে ঘরে ফিরছেন। প্রতিরোধ না করেও হয়েছেন মামলার আসামি। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে আস্থাহীনতা। যা ভবিষ্যৎ সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এমন বার্তা যেতে পারে যে বিএনপির আন্দোলনের শক্তি নেই। তাই নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখা এবং সাংগঠনিক শক্তি জানান দিতে রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের বিকল্প নেই।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিরোধী রাজনীতি নিশ্চিহ্নে সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। মামলা-হামলা গুমের মাধ্যমে দেশে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। যাতে কেউ সরকারের অপকর্মের প্রতিবাদে রাজপথে নামতে না পারে। কিন্তু জনগণের দল হিসাবে বিএনপি জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে রাজপথে আন্দোলন করছে। এটা বন্ধে সরকার ও ক্ষমতাসীনরা অতীতের পথ বেছে নিয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারাও হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা সাহসের সঙ্গে রাজপথে নেমেছেন। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে। এবার রাজপথেই হবে ফয়সালা। আর মাঠে থেকেই মোকাবিলা করা হবে যে কোনো পরিস্থিতি।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে। উভয় দলই ঘোষণা দিয়েছে মাঠ দখলের।