দেশের অন্যতম পাওয়ার প্লান্ট আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের অভাবে পিছিয়েছে ৪শ’ ২০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের (পূর্ব) উৎপাদন প্রক্রিয়ার কাজ। চলতি মাসের শেষদিকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কম গ্যাসে বেশি উৎপাদনকারী ইউনিটটি চালু হওয়ার কথা ছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে এটি চালু হবে। চালু হলে জাতীয় গ্রিডে এই উৎপাদিত বিদ্যুত যোগ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান।
সূত্র জানায়, চলতি মাসের শেষদিকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কম গ্যাসে বেশি উৎপাদনকারী ইউনিটটি চালু হওয়ার কথা ছিল। প্রয়োজনীয় গ্যাস না মেলায় সময়মতো কমিশনিং কাজ করা যায়নি। সে কারণে কমিশনিং কাজও পিছিয়ে যায়।
দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে রেশনিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া গ্যাসে তাদের কমিশনিং কাজ শুরু হয়েছে। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে প্লান্টটি উৎপাদনে যেতে পারবে। জার্মানির সিমেন্স প্রযুক্তিনির্ভর এ প্লান্ট চালু হলে দেশের বিদ্যুত খাতে সমস্যা কিছুটা মিটে যাবে এবং উৎপাদিত বিদ্যুত জাতীয় বিদ্যুত গ্রিডে যোগ হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আশুগঞ্জ ৪শ’ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইেকেল পাওয়ার প্লান্ট (পূর্ব) স্থাপনে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ সরকার। এডিবি ও আইডিবির অর্থায়নে ওই বছরের জুন মাস থেকে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর ব্যয় ধরা হয়েছে একশ’ ৭৭ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৬শ’ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি শেষ হলে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে অন্তত ৪শ’ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত। এতে আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র থেকেই নতুন (পূর্ব) প্লান্টসহ সব মিলিয়ে ১৮শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় বিদ্যুত গ্রিডে যোগ হবে।
previous post