‘নগদের’ মাধ্যমে সরকারের সব লেনদেন পরিচালনার পরামর্শ

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত  ‘নগদের’ মাধ্যমে সরকারের সব লেনদেন পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাটিকে আরও জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে তারা।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেয়া হয়।

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে ‘নগদ’-এর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের সহায়তায় পরিচালিত নগদ সম্পর্কে বিরূপ তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা এবং অপরাজিতা হক বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে সংসদীয় কমিটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসটিকে আরও জনপ্রিয় করে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার পরামর্শ দেন। কমিটির সদস্যরা বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা বৃত্তি ও উপবৃত্তিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব ধরনের ভাতা নগদের মাধ্যমে প্রদানের পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রের উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে নগদের মাধ্যমে সরকারের সব লেনদেন পরিচালনার পাশাপাশি জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সঙ্গে  নগদ-এর নাম ভাঙিয়ে কোনো ধরনের অসৎ উপায় অবলম্বন করলে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত তথ্যানুযায়ী নগদ-এর গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ। উদ্যোক্তার সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার। ডিস্ট্রিবিউটর সংখ্যা ২০৮টি। দৈনিক লেনদেন প্রায় ৯৫৩ কোটি টাকা। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ৬ হাজার ২৩১ জনের। পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার। দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৬০২টি নগদ সেবা কেন্দ্র রয়েছে।। দেশব্যাপী ৪৬টি ‘নগদ’ সেবা সেন্টার রয়েছে।

ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত সরকারি বিভিন্ন নিয়ম মেনে নগদ ডাক বিভাগকে ৫১ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার দিচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নগদ থেকে ডাক বিভাগ মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৪৫৫ টাকা রাজস্ব পেয়েছে।