Home বিশ্বমঞ্চ ইরানে নিহত ১৩৩, বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকা বহু শিক্ষার্থী

ইরানে নিহত ১৩৩, বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকা বহু শিক্ষার্থী

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘিরে চলমান বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। সর্বশেষ তেহরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কার পার্কে আটকা পড়েছেন বহু শিক্ষার্থী।

ইরান হিউম্যান রাইটস, নরওয়ে ভিত্তিক একটা এনজিও বলছে ইরানজুড়ে বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৩৩ জন নিহত হয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বিরাট সংখ্যাক শিক্ষার্থী তেহরানের শরিফ ইউনিভার্সিটির গাড়ি রাখার স্থানে আটকে পড়েছে। সোশাল মিডিয়াতে যেসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশের বন্দুকের গুলির কারণে ছাত্ররা দৌড়ে পালাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে মাশা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণী পুলিশের কাছে আটক হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে যায়। এর তিনদিন পর মারা যায় সে। নিরাপত্তা হেফাজতে ওই তরুণীর মৃত্যুর পর থেকে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এই তরুণী পোশাক সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশি হেফাজতে থাকার পর হাসপাতালে এই তরুণীর মৃত্যু ঘটে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগ করা হয়। তবে সেই অভিযোগ কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলেছে, তার উপর কোন নির্যাতন করা হয়নি তার হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়। তেহরানে ১৩ই সেপ্টেম্বর এই নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ যখন আমিনিকে গ্রেপ্তার করে তখন হিজাবের তলা দিয়ে তার কিছু চুল দেখা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। একটি আটক কেন্দ্রে তাকে নিয়ে যাবার পর মাশা আমিনি অজ্ঞান হয়ে যান এবং কোমায় চলে যান। বিক্ষোভকারীরা বলছেন তারা যদি এখনই এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ান তাহলে একদিন তাদেরও একই ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে। বিক্ষোভ কারীরা তার শেষকৃত্যের দিন থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ করে আসছে যেটা গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিক্ষোভ বলে ধরা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শরিফ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে ছাত্ররা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দূর থেকে বন্দুকের গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। অন্য একটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটা গাড়িতে যারা বসে ভিডিও করছিল তাদের গুলি করতে মোটরবাইকে করে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা আসছে। ইরান ইন্টারন্যাশনাল সাইটসের খবরে বলা হচ্ছে, ছাত্রাবাসগুলোতে পুলিশ হামলা করেছে এবং গুলি করেছে। অন্য একটা খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের উপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। রবিবার ছিল এমন একটা দিন যখন অনেক বিক্ষোভকারী ছাত্ররা প্রথমবারের মত সেখানে যায়। খবরে বলা হচ্ছে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সংঘর্ষের খবর শুনে একটু বেশি রাতের দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান দরজায় বিক্ষোভকারীরা সমবেত হতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা বিবিসি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি।

গত দুই রাতে তেহরান এবং দেশের অন্যান্য শহরগুলোতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছে।

ইরান হিউম্যান রাইটস, নরওয়ে ভিত্তিক একটা এনজিও বলছে ইরানজুড়ে বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৩৩ জন নিহত হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment