খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভবিষ্যৎ কৌশল প্রণয়নের ওপরও সরকার অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিউনিসিয়ার তিউনিসে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব ফুড সিকিউরিটি (আইওএফএস)-এর পঞ্চম সাধারণ সম্মেলনের শেষ দিনে ‘কান্ট্রি ডিবেটে’ অংশ নিয়ে প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, পৃথিবী এখন ইতিহাসের এক চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মানবজাতির সংকট বেড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহামারীকালে সফলভাবে খাদ্য সংকট মোকাবিলা করেছে। দেশ বর্তমানের সংকট মোকাবিলায়ও সফল হবে।
আইওএফএস-এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি এবং বর্তমান ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আইওএফএস মডেল হিসেবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করতে পারে। এসময় তিনি কৃষি ও খাদ্য খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আরো বেশি বিনিয়োগ, গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়ানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আইওএফএস-এর চেয়ারম্যান ছাড়াও কান্ট্রি ডিবেটে সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং কাজাখস্তানের পক্ষ থেকে দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এছাড়াও ওআইসি, আইওএফএসভুক্ত সদস্য দেশ ও পর্যবেক্ষক দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি অংশ নেন।