আজ (বুধবার) চট্টগ্রামে বিএনপির জনসমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগে বিশাল জনসভা হবে। জনসভায় থাকবেন বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম। সেই জনসভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য শুধু চট্টগ্রামের জেলাগুলোর নেতাকর্মীরাই নয়, সাধারণ জনগণও প্রস্তুতি নিয়েছে।’
‘মলিন হওয়া মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ বিএনপির প্রতিটি সমাবেশে উপস্থিত হন। এই খেটে খাওয়া মানুষ, নিপীড়িত মানুষ আজ একটা স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকামী একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যে সরকার এই সাধারণ মানুষদেরকে অনাহারে-অর্ধাহারে রাখবে না। এই প্রত্যয় নিয়েই তারা বিএনপির সমাবেশে উপস্থিত হয়।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, ‘বর্তমান অবস্থা থেকে মনে হয় তৃণমূলে উত্থান শুরু হয়েছে। বিএনপির সমাবেশে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা মানুষ, মলিন চেহারার মানুষের উপস্থিতি ব্যাপক হারে হবে। এছাড়াও সাধারণ মানুষ সর্বস্তরের মানুষ জমায়েত হবে।চট্টগ্রাম যখন উৎসবমুখর তখন ফ্যাসিবাদের যারা অনুসারী রয়েছেন, ফ্যাসিবাদের ইনসট্রুমেন্ট যারা রয়েছে অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ-র্যাব চেষ্টা করছে যেন সমাবেশে লোক কম হয়। তারা আমাদের চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর দক্ষিণ এবং বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও হুমকি দিচ্ছে, যাতে তারা সমাবেশে অংশগ্রহণ না করে। তাদের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে।’
রিজভী বলেন, ‘আগামীকাল চট্টগ্রামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের প্রশাসন যে গণবিরোধী আচরণ করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি তাদেরকে জোরাল কণ্ঠে বলতে চাই এই ধরনের গণবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। জনসভা জনস্বার্থের জনসভা। জনগণের দাবির জনসভা, সেই জনসভায় যারা আসতে ইচ্ছুক তারা যেন ভালোভাবে আসতে পারে আপনারা কোনো বাধা দেবেন না এবং সেখানে যে ধরনের ঘটনার কথা শুনছি এরকম কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর সম্পূর্ণ দায় আপনাদেরকে বহন করবেন।’