বাংলাদেশের যে কোন সুসংবাদ সৌদি আরবের জন্য আনন্দের বলে জানিয়েছেন সে দেশের যোগাযোগ ও লজিস্টিক সার্ভিসেস বিষয়ক মন্ত্রী প্রকৌশলী সালেহ নাসের আলজাসের। রিয়াদে তাঁর কার্যালয়ে সফররত বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আনন্দের কথা জানান।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতে পারস্পারিক সহায়তা এবং সৌদি আরব থেকে এ খাতে বিনিয়োগ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তরিক ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সৌদি যোগাযোগ মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে ৫ দশক ধরে বিদ্যমান অত্যন্ত সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ সুসম্পর্ককে অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার মাধ্যম হলো- বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানো। তিনি সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ উল্লেখ করে বলেন, ভিশন-২০৩০ এর আওতায় এদেশের পরিবহন সেক্টরের কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সে কর্মকৌশলের আলোকে সেদেশের যোগাযোগ খাতে কাজ হচ্ছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সেদেশের যোগাযোগ মন্ত্রীর নিকট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। গত নভেম্বরে সৌদি যোগাযোগ মন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের কথা প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা টার্মিনাল, পায়রা সমুদ্র বন্দর ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগে সৌদি আরবের সহায়তা কামনা করেন।বাংলাদেশে এ সকল খাতে বিনিয়োগের বিষয়টি যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাসের মাধ্যমে বৈঠক সমাপ্ত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলে যোগাযোগ মন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. মনসুর আল তার্কি, সৌদি বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রসিডেন্ট ওমর হাইদি, সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্টের বকর আল মোহাম্মদ এবং সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমের এ আলী রেজাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।