বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতেই আওয়ামী লীগ ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা বাতিল করেছে। রোববার বিকালে গুলশানে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এটা হঠাৎ করে বাতিল করেছে তা নয়। সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকেই তারা কাজটা করেছে। আওয়ামী লীগকে কিভাবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখা যায় সেই নীল নকশার অংশ হিসাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। কলোনি আমলে ব্রিটিশ রুল, পাকিস্তান রুল, তার পরে এরশাদের রুল-সব কিছু তারা ছাড়িয়ে গেছে। তারা দুঃশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে ফেলেছে, ব্যর্থ করে ফেলেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘তরুণ-যুব সমাজ’, তরুণ আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে চলমান সমাবেশে বাধা দিয়েও সরকার তা ঠেকাতে পারেনি বলে দাবি করেন তিনি।
গুলশানের ‘সিক্স সিজন’ হোটেলে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে ‘নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। এই আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরাম’ নামে গবেষণামূলক এই সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আলম জর্জ এবং মহাসচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলভী। সংগঠনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ও উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম রফিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, জহুরুল ইসলাম বাবু, পাবনা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আরশেদ আলম, সচেতন নাগরিক ফোরামের এজেডএম মোরশেদ আল মামুন লিটন, আশরাফুর রহমান, এএইচ আবরার ফাহিম, আবদুল্লাহ জামাল চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।