বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সাংবিধানিক কমিশন করবে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখানে একজন সাবেক বিচারপতি বলেছেন, সংবিধান মেনে চলতে হবে। কিন্তু কোন সংবিধান? যে সংবিধানে আমার অধিকার হরণ করা হয়েছে? যে সংবিধানের মধ্যে কেটে ছেঁটে তিনটি অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এটা কোনো দিন পরিবর্তন করা যাবে না। যে সংবিধানে সবাই মিলে ঠিক করেছিলাম, আমরা একটা স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব।’
ফখরুল বলেন, ‘সেই সংবিধান অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান মানুষের জন্য। এ সংবিধান অবশ্যই কিছুটা পরিবর্তন আনতেই হবে। সেজন্য বলেছি, আমরা সাংবিধানিক কমিশন তৈরি করব। আমরা যদি জনগণের ম্যান্ডেটে বিজয় অর্জন করতে পারি সাংবিধানিক কমিশন তৈরি করে আমরা সেই অগণতান্ত্রিক, জনগণবিরোধী যেসব বিষয় সংযোজন করা হয়েছে- তা বাতিল করব। আমরা জনগণের জন্য যেটা প্রয়োজন যুগোপযোগী একটা সংবিধান নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যেন বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থেই একটা সাম্য, ন্যায়বিচার এবং মানবিক মূল্যবোধের কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে পারি সেজন্য আপনারা অতীতে যে ভূমিকা রেখেছেন- তা অব্যাহত রাখবেন। আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়াবেন এই বিশ্বাস আমার আছে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘এই সময়টা আমাদের অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে, অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে অতিক্রম করতে হবে। আমাদের জয়লাভ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইকতেদার আহমেদ, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, নয়া দিগন্তের ব্যারিস্টার শিব্বির মাহমুদ, আলমগীর মহিউদ্দিন, সালাউদ্দিন বাবর, মাসুম খলিলী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএফইউজের একাংশের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজে একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।