আজ বুধবার কংগ্রেসের ‘খড়্গে’ দিবস। আগামী কাল এআইসিসি-তে কংগ্রেসের নব্যনির্বাচিত সভাপতি রূপে মল্লিকার্জুন খড়গের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হবে নির্বাচনী শংসাপত্র। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ২৪ আকবর রোডে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পরেই বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন কংগ্রেসের নয়া সভাপতি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সামনে দু-দুটি বড়মাপের নির্বাচন, হিমাচলের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর রাজ্য গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেবেন কে, তা নিয়ে বিরাট প্রশ্নচিহ্নের মুখে শতাব্দী প্রাচীন দল৷ দলীয় সূত্রের দাবি, ভোট প্রচারের অংশগ্রহণে রাহুলের ‘অনাগ্রহ’, কংগ্রেসকে আরও বেশি করে চাপে ফেলছে৷ এই পরিস্থিতিতে বুধবার কংগ্রেস সভাপতি পদে বসার পরে মল্লিকার্জুন খড়গে কি সিদ্ধান্ত নেন, অপেক্ষায় গোটা কংগ্রেস শিবির৷ প্রসঙ্গত, “ভারত জোড়ো যাত্রা”ই তাঁর একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান; তাই হিমাচল ও গুজরাটের নির্বাচনী প্রচারে একেবারেই ‘আগ্রহী’ নন রাহুল গান্ধী, দাবি কংগ্রেস সূত্রের৷ গান্ধী পরিবারের ঐতিহ্যের মূল ধারক ও বাহকের এমন মনোভাব দেখে তড়িঘড়ি হিমাচল প্রদেশের জন্য বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড, যেখানে হিমাচলে পরিবর্তনের লড়াইয়ে রাহুল গান্ধীর পরিবর্তে তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীই হতে চলেছেন কংগ্রেসের প্রচারের প্রধান মুখ৷ দলীয় সূত্রের দাবি, দলের শীর্ষ স্তরে গৃহীত সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হিমাচল প্রদেশে চারটি জনসভা এবং চারটি রোড শো করবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ তাঁর এই জনসভাগুলিতে উপস্থিত থাকবেন আনন্দ শর্মা, অশোক গেহলত, ভূপেশ বাঘেল সহ প্রথম সারির কংগ্রেস নেতারা৷ একটি জনসভাতে উপস্থিত থাকার কথা বিদায়ী কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীরও৷ প্রিয়াঙ্কার কোনও জনসভায় ‘দাদা’ রাহুল গান্ধী উপস্থিত থাকবেন কি না, সেই মর্মে কংগ্রেস সূত্রে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি৷ বলাবাহুল্য, বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসার পর রাহুল গান্ধীর বিষয়ে গঠনমূলক কী সিদ্ধান্ত নেন খড়্গে, সেদিকেই লক্ষ্য রাখছে দল।