Home বিশ্বমঞ্চ বিশ্ব এক নতুন শি চিনপিংকে দেখবে

বিশ্ব এক নতুন শি চিনপিংকে দেখবে

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel
গাজীউল হাসান খান

 

বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিবেচনায় চীনের সর্বপ্রাচীন এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, দার্শনিক ও রাজনৈতিক তাত্ত্বিক কনফুসিয়াসের মতে, ‘যারা জ্ঞান,সমৃদ্ধি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে অগ্রসরমাণ রাখতে চায়, তাদের ক্রমাগতভাবে পরিবর্তিত হতে হবে। ’ ইগলের মতো শাণিত দৃষ্টি দিয়ে অবস্থা পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ একজন নেতার সঠিক চিন্তাধারা ও সিদ্ধান্তের ওপরই একটি জাতি এবং এমনকি বিশ্বনেতৃত্বের সাফল্যও বহুলাংশে নির্ভর করে। কনফুসিয়াসের জন্ম ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।

তাঁর কথা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন মহান চীনের অসংখ্য সাম্রাজ্যের শাসকরা, যা আজও বলবৎ রয়েছে। চীনের বর্তমান শাসক শি চিনপিং গুরুশ্রেষ্ঠ কনফুসিয়াসের সেসব কালোত্তীর্ণ শিক্ষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লবী ও গণপ্রজাতন্ত্রী চীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা মাও জেদংয়ের পর ৬৯ বছর বয়স্ক শি চিনপিংই হচ্ছেন দ্বিতীয় শক্তিশালী ও প্রতিভাবান নেতা, যিনি তৃতীয়বারের মতো চীনের ৯ কোটি ৬৮ লাখ সদস্যবিশিষ্ট কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু দল ও দেশ নয়, চীনের প্রায় ৩০ লাখ সৈনিক, নাবিক ও বৈমানিক অধ্যুষিত প্রতিরক্ষা বাহিনী এখন তাঁর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে সমাপ্ত দলের ২০তম সপ্তাহব্যাপী সম্মেলন যেন ছিল শি চিনপিংয়ের একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার এক প্রামাণ্যচিত্র। এই নেতার প্রকৃত শি চিনপিং হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আটকাতে পারেনি। আগে থেকেই তিনি চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শি বিভিন্ন বাহিনী থেকে তাঁর বিরোধীদের শক্ত হাতে দমন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তৃতীয় মেয়াদের শুরুতেই প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুক্ত করার জোর প্রচেষ্টা নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সদ্যঃসমাপ্ত সম্মেলনে দুই হাজার ৩০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ২০৪৯ সালের মধ্যে চীনকে সব দিক থেকে বিশ্বের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত সংকল্প ব্যক্ত করেছেন এই ধীরস্থির স্বভাবের লড়াকু নেতা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বর্তমান সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তিনি অবশ্যই একটি আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করবেন বলে বিশ্বের বেশির ভাগ সংবাদ বিশ্লেষক মনে করছেন। তা ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে তাঁর বহুল আলোচিত ‘নাইন ড্যাসলাইন’ প্রতিষ্ঠা, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি এবং তাইওয়ানের রাজনৈতিক অবস্থান নিশ্চিত করতে শি চিনপিং বিশেষ ব্যবস্থা নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আফ্রিকা ও ইউরোপ এশিয়াব্যাপী শি তাঁর ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ আরো বিস্তৃত করে চীনের প্রভাব শক্তিশালী করতে আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মতো সাম্রাজ্যবাদী কিংবা সামরিক কায়দায় আফ্রিকা কিংবা ইউরোপ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের কৌশল নিতে চান না, বরং বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে গভীরভাবে সম্পৃক্ত হয়ে চীনের যোগাযোগ মাধ্যম সুবিস্তৃত করতে আগ্রহী। এতে চীনের সঙ্গে বহির্বিশ্বের একটি টেকসই আর্থ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পর্ক জোরদার হবে। বর্তমানে শি তাঁর পূর্বসূরি সাবেক প্রেসিডেন্ট হু জিন তাওয়ের মতো একতরফাভাবে শুধু বহির্বিশ্বের সামনে চীনের দুয়ারই খুলে দেবেন না, বরং অংশীদারির মাধ্যমে চীনের নিয়ন্ত্রণও ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। নতুবা তাঁর মতে, বহির্বিশ্বে চীনের প্রভাব অর্থবহ কিংবা দীর্ঘ সময়ের মাপকাঠিতে ফলপ্রসূ হবে না। এসব দিক থেকে শি তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য ২০৪৯ সালকে টার্গেট করেছেন। সেই আরাধ্য লক্ষ্যে পৌঁছতে এখন থেকে প্রায় ২৭ বছর সময় শি হাতে রেখেছেন। কনফুসিয়াসের অভিজ্ঞতার আলোকে চীনের প্রাধান্য লাভের জন্য শি একটি যুগোপযোগী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ধারার সূচনা করতে আগ্রহী। এতে পর্যায়ক্রমে পথপরিক্রমায় যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান আর্থ-সামরিক প্রভাব-প্রতিপত্তি এক সম্পূর্ণ ধোঁয়াশার জগতে হারিয়ে যাবে বলে শি চিনপিংয়ের বিশ্বাস।

বাস্তবতার দৃষ্টিতে দেখতে গেলে সামরিক, বিশেষ করে আকাশযুদ্ধে শক্তির দিক থেকে কিংবা প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগতভাবে চীন এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে চীনের পঞ্চম প্রজন্মের ‘দ্য চেংডু’ কিংবা ‘মাইটি ড্রাগন’ নামে খ্যাত জে-২০ বহুমুখী জঙ্গিবিমান যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন নির্মিত স্টিলথ সুপারসনিক জেট ফাইটার এফ-৩৫-এর তুলনায় খুব একটা পিছিয়ে নেই। তবু এ ক্ষেত্রে চীনের ৫০টি জে-২০-এর তুলনায় মার্কিন বহরে এ মুহূর্তে রয়েছে ৪৫০টি এফ-৩৫। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এই বিমানের আরো বিভিন্ন মডেল তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্র ২০৪০ সালের মধ্যে আরো দুই হাজার ৫০০টি এফ-৩৫ তাদের বহরে যুক্ত করতে যাচ্ছে। তবে চীন এ ক্ষেত্রে অতিদ্রুত এগিয়ে যাওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া নৌশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও চীনের অগ্রগতি অত্যন্ত লক্ষণীয়। এই বিষয়টি আমি পরে অন্য একটি লেখায় বিশদভাবে আলোচনা করতে আগ্রহী। এখানে একটি বিশেষ আলোচনার দিক হচ্ছে কৃষি এবং শিল্প খাতে চীনের অসামান্য অগ্রগতি। চীনের গড়, দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২০১৬ সালেই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়েছে। কিন্তু শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমতুল্য হতে চীনের এখনো যথেষ্ট সময় লাগবে বলে তথ্যাভিজ্ঞমহলের ধারণা। এ ক্ষেত্রে এ কথাও ঠিক যে শত শত বছর আগেও চীনের ছিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি।

শি চিনপিং ২০৪৯কে টার্গেট করে এখন আবার যে প্রত্যয় নিয়ে আবির্ভূত হচ্ছেন, তাতে বিশ্বের প্রথম কিংবা প্রধান পরাশক্তির দেশে রূপান্তরিত হওয়া চীনের জন্য অস্বাভাবিক নয়। এ ক্ষেত্রে শির নেতৃত্ব অবশ্যই একটি বিশাল পরিবর্তন সাধন করতে পারে বলে অনেকেই আশাবাদী। বর্তমান তৃতীয় টার্মের নেতৃত্ব শি চিনপিংকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে। তার পরও ২০৪৯ আসতে আরো দুই দশক সময়ের বেশি বাকি থাকে। তবে চীনের মতো একদলীয় শাসনের দেশে শি যে আবার আজীবন প্রেসিডেন্ট কিংবা দেশের অবিসংবাদী নেতা নির্বাচিত হবেন না, তা-ই বা কে জানে? এর সব কিছুই নির্ভর করছে শি চিনপিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গি, যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, পর্যায়ক্রমিক কর্মধারা এবং সর্বোপরি সাফল্যের ওপর।

কনফুসিয়াসের চিন্তাধারা চীনের মতো একটি দেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হয়েও শি চিনপিং কখনো বিস্মৃত হননি। সাধারণ জনগণ থেকে বিচ্যুতি কিংবা তাদের স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা নয়, বরং যুগোপযোগীভাবে তাদের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য বিরতিহীনভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়াই মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে। সে কারণেই শি বলেছেন, তিনি আর হু জিন তাওয়ের দুয়ার খোলা নীতি অনুসরণ করবেন না, যা একটি বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণি কিংবা শোষণের পথকে অবারিত করতে পারে।

মাও জেদংয়ের অন্তিম সময়ে অর্থাৎ ১৯৬৬ সালে চীনে শুরু হয়েছিল এক বিভ্রান্তিমূলক সাংস্কৃতিক বিপ্লব, যা স্থায়ী হয়েছিল ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। সে সময় শির বাবা শি ঝংসান মাও জেদংয়ের একজন সহযোদ্ধা কমিউনিস্ট হয়েও দল থেকে ভিন্নমত পোষণের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। শির পরিবারে তখন শুরু হয়েছিল এক চরম দুঃসময়। বহু ব্যর্থতা ও সাধ্য সাধনার পর শি শেষ পর্যন্ত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একজন সাধারণ সদস্য এবং পরে পার্টির একটি স্থানীয় শাখার সম্পাদক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু হয়েছিল তাঁর দিনবদলের পালা। চীনের সানশি প্রদেশের সে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ক্রমে ক্রমে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন সেদিনের তরুণ শি। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে নিষ্ঠার সঙ্গে দলের কাজ চালিয়ে গেছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় একদিন সুসময় ধরা দেয় তাঁর কাছে।

শি চিনপিং ১৯৯৯ সালে ফুজিয়ানের গভর্নর পদে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ পেয়ে যান। এরপর শি ২০০৭ সালে দেশের পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটিতে কাজ পান। এর বহু পরে তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০০৮ সালে। তখন থেকে শি ২০১৩ সাল পর্যন্ত সেই পদে বহাল ছিলেন। এরই মধ্যে ২০১২ সালেই তিনি চীনের একজন মুখ্য নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তিনি সে বছরই চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। শি গণপ্রজাতন্ত্রী চীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর জন্মগ্রহণ করা প্রথম দলীয় প্রধান। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেন। তাঁর সে অবস্থান তাঁকে ২০১৩ সালে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত করে। বিভিন্ন পদে শির অসাধারণ সাফল্যের কারণে তাঁকে আগে থেকেই হু জিনতাওয়ের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল। হু ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত এক দশক সময় শি প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।

শিকে তাঁর সিদ্ধান্তে সব সময়ই অটল থাকতে দেখা গেছে। তিনি কোনো অন্যায্য ইস্যুতে কারো সঙ্গে আপস করেন না। হংকংয়ের সাম্প্রতিক আন্দোলন ও তার চূড়ান্ত পরিণতিই এর সাক্ষী। চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারেও শি চিনপিংয়ের একই অভিব্যক্তি দেখা যাচ্ছে। তিনি সময় নিয়ে যথোপযুক্ত সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। কোনো অবস্থায়ই পিছু হটেন না। তাঁকে ধৈর্য হারাতে খুব কমই দেখা গেছে। শি চীন থেকে শুরু করে বিশ্বরাজনীতিতে তাঁর নিয়ন্ত্রণ ক্রমেই কঠোর করে তুলছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি কখনোই একক ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হতে দেবেন না। এর পাশাপাশি শি বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী নীতি কিংবা আধিপত্যের অবসান ঘটাতে বদ্ধপরিকর। নিজ দেশে কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং চীনের সমাজব্যবস্থা থেকে সব রকম দুর্নীতির মূলোচ্ছেদের জন্য তিনি বিশেষ বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শি একটি শক্তিশালী বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অটল রয়েছেন। এর পাশাপাশি ডলারের একাধিপত্য ঘুচিয়ে বিকল্প পথে পরিচ্ছন্ন বিশ্ববাণিজ্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ও তার নৌ বাণিজ্য পথকে ঝুঁকিমুক্ত করতে শি চিনপিং যে নিরলসভাবে কাজ করবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। চীন প্রতিবেশীদের সঙ্গে এ পর্যন্ত কোনো বড় সংঘর্ষে বা যুদ্ধে জড়ায়নি। সে জন্যই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে চীন ক্রমেই আরো আন্তরিক হচ্ছে। আঞ্চলিকভাবে কৌশলগত উন্নয়ন সহযোগিতা থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক অংশীদারির অর্থনীতি (বাণিজ্য) ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে আগ্রহী শি চিনপিং। দেখা যাক, তাঁর সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ কিভাবে এবং কত এগোয়।

লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
gaziulhkhan@gmail.com

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment