দিগন্ত বিস্তৃত ধানক্ষেত। মাঝখানে এক চিলতে জমিতে সবুজের মাঝে কালচে ছোপ। এটিই কালো ধান বা ‘ব্ল্যাক রাইস’-এর ক্ষেত। এলাকায় প্রথমবারের মতো এ ধান চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগান কৃষক আলী হাসান।নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চাকলমা মাঠে কালো ধান চোখে পড়ার মতো।
জানা যায়, ব্ল্যাক রাইস ধান গাছ প্রথমে সবুজ থাকলেও, ধান পাকার সময় ধীরে ধীরে কালো হতে শুরু করে। চালের রং হয় কালো। এ ধান বেশ দামি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ব্ল্যাক রাইস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও কৌতূহলের কমতি নেই। এমন ধান চাষ করতে পেরে ভীষণ আনন্দিত কৃষক আলী হাসান।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে চাকলমা গ্রামের মাঠে আলী হাসানের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে সবুজ ধানক্ষেতের মাঝে কালো রঙের ধানের আবাদ। এই ধান দেখতে ভিড় করেছেন এলাকার অনেক মানুষ। স্থানীয় লোকজন কাছ থেকে দেখার পর ধানটা কোন দেশের, এর চাষপদ্ধতি, ফসল তুলতে কত সময় প্রয়োজন ইত্যাদি জানতে চান।
কৃষক আলী হাসান শখের বশে ১০ শতক জমিতে ‘ব্ল্যাক রাইস’ (কালো ধান) আবাদ করেন। তিনি বলেন, ‘এটা নতুন ধান। পরীক্ষামূলকভাবে কালো রঙের ধানের চাষ করেছি। ভালো ফল পেলে আরও বড় করে আবাদ করার কথা ভাবছি। ’ এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা।
ব্ল্যাক রাইসের চাষ পদ্ধতি অন্যান্য আধুনিক ধানের মতোই। এতে অতিরিক্ত সার বা পানির প্রয়োজন নেই। পরিচর্যাও অন্যান্য ধানের মতো। এটি বর্তমান বাজারে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আদনান বাবু বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কালো চালের ধানের চাষ হলেও এই উপজেলায় এই প্রথম। কৃষক আলী হাসান ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে কালো ধানের আবাদ করছেন। আশা করছি ফলনও ভালো হবে।