ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়াই করে হেরে গেল বাংলাদেশ।তবে মাঠ না শুকিয়ে ভেজা মাঠে এক প্রকার ঠেলে খেলতে পাঠানোটা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।এর আগে জিম্বাবুই একটি খেলা ভেজামাঠে খেলেনি।
গতকাল বুধবার (২ নভেম্বর) অ্যাডিলেডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের জোড়া ফিফটি আর সূর্যকুমারের ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ভারত।
জয়ের লক্ষ্যে ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন কুমার দাস। লিটনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ৭ ওভারে ৬৬ রান করে বাংলাদেশ। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে কার্টল ওভারে খেলার দৈর্ঘ কমে হয় ১৬ ওভার। বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫১ রান। প্রথম ৭ ওভারে ৬৬ রান করায় শেষ ৯ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮৫ রান। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন নেয়া লিটন বৃষ্টির আগে ২৬ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
১২.৫ ওভারে ১০৮ রানে লিটন, শান্ত, আফিফ, সাকিব, ইয়ারিস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায়। তবে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। নুরুল হাসান সোহান ছক্কা মেরে শেষ মুহূর্তে জয়ের স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছিলেন। তবে বাংলাদেশ থামে ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রানে। অবশেষে ৫ রানে হেরে গেলো বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাট করে বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করে ভারত। দলের হয়ে ৪৪ বলে ৮ চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অফ ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুল বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেই তাণ্ডব শুরু করেন। ৩২ বলে তিন চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ রান করা রাহুলকে ফেরান সাকিব।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতীয় এই তারকা ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান সাকিব। তার আগে ১৬ বলে চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩২ রান করেন সূর্যকুমার। বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের জোড়া ফিফটি আর সূর্যকুমারের ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ভারত।
প্রসঙ্গত, ভারতের কাছে এই হারে সেমির দরজা এক প্রকার বন্ধই হয়ে গেল বাংলাদেশের। হারলেও লড়েছে এই শান্তনাটুকু শুধু সঙ্গী। এর আগে ২০১৫ সালে এই অ্যাডিলেড ওভালেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তবে সুখস্মৃতির মাঠে ইতিহাসটাই বাংলাদেশকে মনে করিয়ে দিল ভারত। টি-টোয়েন্টির দ্বৈরথে ১২ লড়াইয়ে ১১টিতেই হার বাংলাদেশের। কিন্তু অনাহুত বৃষ্টিতেই আজ সর্বনাশ! না হলে ভারত বধের গল্পটা লেখা হয়ে যেতে পারতো অ্যাডিলেড ওভালে। যেখানে রূপকথার গল্প লেখার কথা সেখানে বৃষ্টি শেষে কাঁদল বাংলাদেশ! এই অ্যাডিলেড ওভালেই ৬ নভেম্বর টাইগাররা লড়বে পাকিস্তানের সঙ্গে!