এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘মার্কিনীদের বাংলাদেশ রাজনীতি: ১৯৭১ থেকে ২০২২’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকের আলোচনায় এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবুর সঞ্চালনায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং শিক্ষাবিদের ব্যাপক ভাব-গম্ভীর আলোচনা করেন।
আলোচকরা বলেন- বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ভেতর থেকে দুর্বল। তাঁরা বিভিন্ন সময় মার্কিনীদের কাছে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায়। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে খবরদারি করার সুযোগ পায়। মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাজনীতি করার চেষ্টা করে।
তাঁরা বলেন- নিজের দেশে নানা ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা থাকা শর্তেও নিজের স্বার্থে মানবাধিকার ইস্যুকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বল ভিত্তির কারণে বাইরের এসব শক্তি এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারে বলে মত অনেকের। তাঁদের বক্তব্য- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময় অর্থনৈতিক লাভের রাজনীতি করে, তাই তাদের সাথে দরকষাকষি হওয়া উচিত বাংলাদেশের মৌল পররাষ্ট্রনীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথ শত্রুতা নয়- এমন নীতির ওপর।
একদম ঠিক যে দীর্ঘদিন বিদেশী দ্বারা শাসিত হওয়ার কারণে আমরা কোন কাজ ও সিদ্ধান্তই মেরুদন্ড সোজা করে নিতে পারিনা। এজন্য কথায় কথায় বিদেশী হস্তক্ষেপ চেয়ে বসি।যেটা এখন আমাদের তথাকথিত বিরোধী দল করছে।তাঁরা একবারও ভাবলো না যে বিদেশীরা কখনোই তাঁদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না।যা সময়ে বলে দেবে। তাই আমাদের চোখ কান খোলা উচিত যে আমেরিকার স্যাংশন আরোপ আপনাদের ক্ষমতায়ও বসবেনা ; অথবা আমাদের দেশের কল্যাণেও আসবেনা। আসলে মানবাধিকার ইস্যু আমেরিকার স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার।এ হাতিয়ার আমরা যতবার গলা পেতে নেবো;তত বার বধই হব ;বাঁচবো তো নয়-ই।