আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগর সভাপতি ও বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ঢাকায় বনানীতে দলীয় কার্যালয়ে রোববার চেয়ারম্যানের পক্ষে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেন মহাসচিব মজিবুর হক চুন্নু। নানা গুঞ্জনের পর আবারও বর্তমান মেয়রকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে পার্টির নেতাকর্মীদের মাঝে। নির্বাচনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারা।
এদিকে এদিন দুপুরে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিশেষ সভা করেছে। সভায় মহানগরীর যে কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার জন্য এক হয়ে সবাই কাজ করবে। সূত্র জানায়, মহানগরীর একাধিক নেতা প্রার্থী হতে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তবে তারা চেয়ে রয়েছেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। ২৩-২৪ নভেম্বর আওয়ামী লীগ প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।
আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির মহানগর শাখার আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু।
রোববার খেলাফত মজলিশ মহানগর কমিটি সভা করে তাদের মেয়র প্রার্থী হিসাবে তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজুকে মনোনীত করেছে। এর আগে গত মাসে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন তাদের প্রার্থী হিসাবে এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবুকে মনোনয়ন দেয়। এর বাহিরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনি প্রচারণা না চালালেও দলটির সাবেক মহানগর আমির অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বেলালের পোস্টার নগরীর বিভিন্ন দেওয়ালে দেখা গেছে। তিনি দলের আড়ালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন এমনটি শোনা যাচ্ছে। তবে এ নিয়ে জামায়াতের কোনো নেতা কথা বলতে রাজি হননি।
জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, রোববার দুপুরে ঢাকায় মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার দলীয় মনোনয়ন রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এইচএম ইয়াসিরের হাতে তুলে দেন দলের মজিবুল হক চুন্নু। এ সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান আনিস, কেন্দ্রীয় ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন পেয়ে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ রংপুরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, রংপুর হচ্ছে জাতীয় পার্টির দুর্গ। পল্লীবন্ধু এরশাদের দুর্গ। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে রংপুরে জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি সুসংগঠিত। সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসে, আমাকে ভালোবাসে। আশা করছি, যদি ভোটের পরিবেশ নষ্ট না করা হয়, প্রশাসন নিরপেক্ষ হয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে, তাহলে আমি আবারও বিজয়ী হব।