by Nahid Himel

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ৫০ বছর পূর্তি হবে আগামী বছর। এ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনসহ নানা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটি। আগামী বছরের ১১-১৩ মার্চ তিন দিনব্যাপী এফবিসিসিআইয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই আয়োজনের অংশ হিসেবে আগামী ১১-১২ মার্চ এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।

বিজনেস সামিটের প্রথম দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং একটি প্লেনারি সেশনের আয়োজন করা হবে। প্লেনারি সেশনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এফবিসিসিআই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সামিটের দ্বিতীয় দিনে এসএমই, অবকাঠামো, ডিজিটাল ইকোনমি, কনজিউমার গুডস-এফএমসিজি, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন ও গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট বিষয়ে পাঁচটি প্যারালাল সেশন আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এসব সেশনে প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য ব্যক্তিরা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

স্থানীয় আলোচকদের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ আগ্রহী দেশগুলো বিশেষ করে জাপান, ইতালি, সিঙ্গাপুর, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, মালয়েশিয়া, কানাডা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ব্রুনেই, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের নীতিনির্ধারক, প্রতিষ্ঠিত বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী নেতা ও টেকহোল্ডাররা বিজনেস সামিটের বিভিন্ন সেশনে আলোচনায় অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

ওই সব দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর শিল্প, বাণিজ্য, বিনিয়োগ—অর্থমন্ত্রীদের এসব সেশনে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের ট্রেড কমিশনার এবং ডাব্লিউটিওর মহাপরিচালককে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হবে। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের তৃতীয় দিনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুক্তিযোদ্ধা এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সম্মাননা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একই দিনে দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য খ্যাতনামা শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এ ছাড়া অন্যান্য অনুষ্ঠানমালার পাশাপাশি বাংলাদেশি স্থানীয় পণ্য ও সেবাকে তুলে ধরার জন্য একই স্থানে ও একই সময়ে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মেলা ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ’ আয়োজন করা হবে। আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে অনুষ্ঠেয় এই মেলায় দেশের প্রতিষ্ঠিত উৎপাদনকারী ও করপোরেট হাউসগুলো তাদের পণ্য ও সেবা তুলে ধরবে। এ মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশি ব্র্যান্ডকে উপস্থাপন করা হবে।

এসব আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও সুবিশাল বিনিয়োগ সম্ভাবনা যথাযথভাবে তুলে ধরা হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে এফবিসিসিআই কর্তৃক আয়োজিত সামগ্রিক অনুষ্ঠানমালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এই আয়োজন সফল করতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়াতে এই বিনিয়োগ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সময়ে দেশে বিভিন্ন করপোরেট সিইও, ইকোনমিক মিনিস্টার থাকবেন। তাঁরা সরেজমিনে বিনিয়োগ পরিস্থিতি দেখবেন। ’ তিনি বলেন, ‘দেশে সংকট বা মন্দা অবস্থা তৈরি হলে আমরা অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করব। তবে এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। ’

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment