Home Lead 2 মহিলা আ. লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ৷৷ কাদের সঙ্গে সংলাপ, গ্রেনেড হামলাকারীদের সঙ্গে?

মহিলা আ. লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ৷৷ কাদের সঙ্গে সংলাপ, গ্রেনেড হামলাকারীদের সঙ্গে?

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাদের সঙ্গে সংলাপ? হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, গ্রেনেড হামলাকারী খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের সঙ্গে? তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, আন্দোলন করলে সমস্যা নেই। কিন্তু মানুষ হত্যা বা বোমা-গ্রেনেড মারতে গেলে একটাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের পরামর্শদাতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া দুর্নীতিবাজ, গ্রেনেড হামলাকারী, আইভি রহমানের হত্যাকারী, আর জিয়া ছিল আমার বাবার হত্যাকারী।

আর এদের সঙ্গে সংলাপ করতে হবে? আলোচনা করতে হবে? আবার মানবাধিকারের কথাও বলে। এটা কেমন ধরনের কথা, সেটাই আমি জিজ্ঞেস করি। ’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন কমিশন আছে। যারা নির্বাচন করার করবে। আর কারো নির্বাচন করার শক্তি যদি না থাকে তাহলে করবে না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে অংশ নেবে, তারা ভোট করবে, আর কেউ ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেয় না। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে ভোট চুরি করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে টেনে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছিল। ’

বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আপনারা আন্দোলন করেন, মিছিল করেন, মিটিং করেন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি ওই মানুষ পুড়িয়ে মারা বা বোমা মারা বা গ্রেনেড মারা বা মানুষকে অত্যাচার করতে যান, তাহলে একটাকেও ছাড়ব না। এটাই হলো বাস্তবতা। ’

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ওপরে যে আঘাত দেওয়া হয়েছে আমরা তা ভুলি নাই। আমরা সহ্য করেছি দেখে যেন এটা মনে না করে যে সহ্য করাটা আমাদের দুর্বলতা। দুর্বলতা না। বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, আমাদের সঙ্গে আছে। ওই খুনিদের সঙ্গে নাই। জিয়া খুনি, খালেদা খুনি, তারেক জিয়া খুনি। শুধু খুনি না, অর্থ পাচারকারী, অস্ত্র পাচারকারী, মানুষ হত্যাকারী। ওদের কী অধিকার আছে এ দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বা মানুষের ভোট চাওয়ার বা রাজনীতি করার। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগই এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। অনেকে বলেন, আলোচনা করতে হবে ওই বিএনপি, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার সঙ্গে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আমাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড মেরেছিল। খালেদা জিয়া বলেছিল, আমি প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধীদলীয় নেত্রীও হতে পারব না। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা উচ্চ আদালতে নারীদের জজ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। নারীরা ডিসি, এসপি হতে পারত না, কোনো সচিব ছিল না। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমিই প্রথম এই উদ্যোগ নিই। আজকে আমাদের মেয়েরা প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে মেয়েরা ভালো করে বিশ্বের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ’

নারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের বলব, সন্তানরা যেন জঙ্গিবাদ, মাদকের দিকে ধাবিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ‘নারীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি। এতে মেয়েরা চিকিত্সা পায়। মেয়েরাই চাকরি করে। সারা দেশে ৩০ হাজার নার্স ও ৪৫ হাজার চিকিত্সক নিয়োগ দিয়েছি। দুগ্ধ পানকারী মায়ের বিনা পয়সায় চিকিত্সা করে দিয়েছি। নারীদের সব ধরনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। প্রাথমিক শিক্ষায় ৬০ শতাংশ মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করেছি। ’

চুমকি সভাপতি ও শিলা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত : সম্মেলন শেষে গতকাল মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ নাম ঘোষণা করেন।

মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকিকে সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগে সাহেদা খানম দিপ্তী সভাপতি, হাসিনা রাবী চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সাবেরা বেগম একই পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন পারুল আক্তার।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment