Home ব্যবসাপাতি কাল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ৷৷ জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৮০ একর জমি প্রস্তুত

কাল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ৷৷ জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৮০ একর জমি প্রস্তুত

বিনিয়োগে আগ্রহ ৪০ বিদেশি কোম্পানির * ৫ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মসংস্থান হবে ৮ লাখ মানুষের : বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন

by Nahid Himel

বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল) শিল্প স্থাপনের উপযোগী হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন। প্রথম পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ৫০০ একর ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে। এর মধ্যে ১৮০ একর জমিতে শিল্প স্থাপনের জন্য ভূমি উপযোগী করা হয়েছে। এখানে ৪০টি বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) মতবিনিময় সভায়  এ

বেজা কার্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন লিখিত বক্তব্য দেন। সভায় ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান ও জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারোকাওয়াচি বক্তব্য দেন। এ সময় বেজার সদস্যসহ ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক হাজার একর জমির ওপর জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ -বেজার সঙ্গে চুক্তি করেছে নবগঠিত বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড-বিএসইজেড। নিয়ন্ত্ক সংস্থা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজার সঙ্গে চুক্তি করেছে নবগঠিত বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিম শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। তবে এর মধ্যেও বেজা তার উন্নয়ন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে। ২০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে প্রথমবারের মতো চারটি শিল্পের বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, জাপানের নিপ্পন স্টিল, বাংলাদেশ ম্যাকডোনাল্ড এবং টি কে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশা করি, জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জাপানিজ বিনিয়োগ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। এর মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প নির্মাণকাজ শুরু করেছে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সিঙ্গার, চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে জার্মান কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। উদ্বোধনের দিনে এ জোনের দুটি জাপানি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি হবে। এছাড়া আরও প্রায় ৩০টি জাপানি এবং অন্যসব দেশের ১০টি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। শিগগিরই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে এখানে আনুমানিক ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে। এছাড়া এখানে প্রাথমিকভাবে লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এবং শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ হচ্ছে। এসব জায়গায় মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগ এসেছে ২২ হাজার ১৭৩ দশমিক ১৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৮৪ একর এবং প্রস্তাবিত কর্মস্থান ৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৪১ জনের। এদিকে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ হয়েছে ৪ বিলিয়ন ডলার এবং কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment