আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে করোনা মহামারীতে মানবিক কাজে যারা আলোচনায় এসেছেন তাদেরকেও এবার বিবেচনা করা হবে বলে জানা গেছে। বিগত কয়েক বছরে নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চল থেকেই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। এরমধ্যে বৃহত্তর ফরিদপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, উত্তরবঙ্গ, খুলনা, এবং ময়মনসিংহ উল্লেখযোগ্য।
উত্তরবঙ্গ থেকে আলোচনায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু, সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী, শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, তথ্য ও গভেষণা সম্পাদক পল্লব কুমার বর্মন। বরিশাল বিভাগ থেকে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ, সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ (ইনান), উপ-বিজ্ঞান সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, কর্মসংস্থান বিষয়ক উপ-সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়। খুলনা বিভাগ থেকে রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফরিদা পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাধন, মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকের ও উপ-বিজ্ঞান সম্পাদক খন্দকার হাবিব আহসান।নেতৃত্বের দৌঁড়ে এসব অঞ্চলের যেসব নেতা এগিয়ে আছেন তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে রয়েছেন বর্তমান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, সহ সম্পাদক মো: আনফাল সরকার পমন।
ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে আলোচনায় আছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খান, সহ সভাপতি খায়রুল হাসান আকন্দ, এসএম হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, উপ- প্রচার সম্পাদক সুরাপ মিয়া সোহাগ, সহ-সম্পাদক এসএম রাকিব সিরাজী, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপ সম্পাদক রশিদ শাহরিয়ার উদয়। ঢাকার পার্শ্ববর্তী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক বিভাগ ফরিদপুর থেকে আলোচনায় আছেন কর্মসংস্থান সম্পাদক রনি মোহাম্মদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, ঢাবির মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহীদুল হক শিশির। ঢাকা অঞ্চলের প্রার্থীদের মধ্যে সার্জেন্ট জহরুল হক হলের সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল্লাহ আব্বাসী অনন্ত, এফ রহমান হলের সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় উপ দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাহিম, গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শামীম শেখ তুর্জ, শহীদুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় উপ বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক মো. ইরফানুল হাই সৌরভ, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো: নিয়ামত উল্লাহ তপন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রিক্তিক চক্রবর্তী প্রমুখ।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বয়স ২৭ এর মধ্যে থাকলেই কেবল নেতৃত্বে আসার সুযোগ রয়েছে। সেই হিসেবে বিভিন্ন অঞ্চলের অনেকেই ছিটকে পড়বে কেন্দ্রীয় শীর্ষ পদ থেকে। তবে বিগত কয়েকটি কমিটিতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ বছর বাড়িয়ে অনুর্ধ্ব ২৯ করেছেন। নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন গঠনতন্ত্রে ২৭ বছর বয়স, এর বাইরে নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী) বড়জোর অনুর্ধ্ব ৩০ এর মধ্যে যেতে পারেন। কোনভাবেই ৩০ বছরের বেশি বয়সী কেউ নেতা হতে পারবেন না। সেই হিসেবে বয়স ৩০ এর বেশি হলেও শীর্ষ পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খান, যার বয়স ৩২ অতিক্রম করেছে অনেক আগেই। ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী বর্তমান কেন্দ্রীয় আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ফাহাদ। তার বয়স এখনো ৩০ অতিক্রম করেনি। বয়সের বাধা না থাকলে তিনি এবার শক্তিশালী প্রার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনও নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন, যার বয়স ৩০ অতিক্রম করেছে কয়েকমাস আগে। এছাড়া ছয় বছরের মধ্যে চার বছর মেয়াদী অনার্স শেষ করার নিয়ম থাকলেও ৯ বছর পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ডিগ্রি অর্জন করছেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেন। এছাড়া বয়স ৩০ বছরের কোটা পার করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম, সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ। আর ২৯ বছর অতিক্রম করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রার্থী হয়ে আছেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু, সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাধন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত। তবে করোনা মহামারীর সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়টুকু বিবেচনায় নিলে কপাল খুলতে পারে অনেকের।