সমতলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিতকরণসহ হারিয়ে যাওয়া ভাষা, শিল্প, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রক্ষায় ঠাকুরগাঁওয়ে শেষ হয়েছে দু’দিনব্যাপী ন্যাশনাল কনভেনশন ও সাংস্কৃতিক উৎসব।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) আকচা ইউনিয়নে লোকায়ন পার্কে ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) ও হেকস্/ইপার আয়োজিত উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভের সাধারণ সম্পাদক জান্নাত এ ফেরদৌস, হেকস্/ইপারের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোরা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উদ জামান।
আদিবাসী মেলায় ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরের সাঁওতাল, ওরাঁও, মুসহর, মাহালি, কড়া, তুরি, মাহাতো, ভুনজারসহ ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ১০টি সম্প্রদায়ের স্টলে তাদের খাদ্য, শিল্প, সংস্কৃতির উপকরণ প্রদর্শিত হয়।
মেলার আয়োজক ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহিদ উদ জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িক পারস্পরিক ভেদাভেদমুক্ত বাংলাদেশ। দুঃখের বিষয়, এ দেশেই আদিবাসীরা উপেক্ষিত। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তাদের ভাষাসহ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার ভেতরে চেতনা জাগাতেই এ আয়োজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আদিবাসী অনেকের অভিযোগ, দেশে ৭৮টি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকলেও ৫০টি সম্প্রদায় স্বীকৃত। এসব সম্প্রদায়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্য রক্ষায় আদিবাসীদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তকসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সংরক্ষণের দাবি তাদের।