পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় পদ্মায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। পদ্মায় নির্মাণ হওয়া বৈদ্যুতিক টাওয়ারেরর মাধ্যমে রামপাল ও পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে যুক্ত হয়েছে। জানাগেছে,বৃহস্পতিবার দুপুরে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার আমিনবাজার গ্রিডের সাথে যুক্ত হয়েছে। পায়রা ও রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে পদ্মার বুকে ৭টি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের সঞ্চালন লাইনে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো আমিনবাজার গ্রিড উপকেন্দ্রে। যা দেশের বিদ্যুৎ খাতে যুগান্তকারী অধ্যায়। পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগেই নয়, বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে বিদ্যুৎ খাতেও ।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ গোপালগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র হয়ে একইভাবে পদ্মা পার হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে পারবে। পদ্মা সেতুর আদলে নদীর তলদেশে অন্তত ১শ’ ১০ মিটার গভীর পর্যন্ত স্থাপন করা ৩৬ পাইলের উপরেই বসেছে টাওয়ারের প্লাটফর্ম।গত জুনে স¤পন্ন হওয়া এই প্লাটফর্ম থেকেই ১শ’ ২৬ মিটার উচ্চতার টাওয়ার করে সঞ্চালন লাইন স¤পন্ন হলো বিজয়ের মাসে।নদীতে একটি থেকে আরেকটি টাওয়ারের দূরত্ব ৮শ’৩০ মিটার। ৯ দমশিক ৪ কিলোমিটার পদ্মার উপর দিয়ে যাওয়া এই সঞ্চালন লাইন জাতীয় গ্রিডকে বিশেষ উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সাড়ে ৭ কিলোমিটার পদ্মা নদীর উপর দিয়ে যাওয়া এই সঞ্চালন লাইন জাতীয় গ্রিডকে বিশেষ উচ্চতায় নিয়েছে। পদ্মা সেতুর ২ কিলোমিটার ভাটিতে ঢাকা-খুলনা ব্যাকবোন ৪শ’ কেভি এই সঞ্চালন লাইন দেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনবে। পাওয়ার গ্রিড কো¤পানি অব বাংলাদেশের প্রধান প্রকৌশলী (পিজিসিবি) মোরশেদ আলম খান বলেন, পদ্মা সেতুর ২ কিলোমিটার ভাটি দিয়ে ঢাকা-খুলনা ব্যাকবোন ৪০০ কেভি এই সঞ্চালন লাইন দেশের অর্থনীতিতে সাফল্য বয়ে আনবে। তিনি বলেন, আমিনবাজার থেকে মাওয়া হয়ে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত সাড়ে ৮২ কিলোমিটার ৪শ’ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন। এই লাইন মোংলা পর্যন্ত আরও ৯৬ কিলোমিটার সম্প্রসারিত হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। আর এই পদ্মা সেতু প্রকল্পের আওতায় ৭টি প্লাটফর্ম নির্মাণে খরচ হয়েছে আরও প্রায় ৬শ’ ৭০ কোটি টাকা। এই লাইনে ৩ হাজার ৬শ’ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন সম্ভব হবে।