রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক) ভোটগ্রহণের আগে-পরে নির্বাচনি অপরাধ রোধে পাঁচ দিন দায়িত্ব পালন করবেন ৪৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট। এদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩৩ জন এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ১৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য রংপুর জেলা প্রশাসককে এরই মধ্যে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ ডিসেম্বর রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য ২৫ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার দিন প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনি অপরাধ রোধ, বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্ব পালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্তে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইভিএমের ব্যবহার কারিগরি বিষয় হওয়ায় ভোটারদের ইভিএমের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটার শিখন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। শিখন কার্যক্রমে ভোটাররা ইভিএমে ভোটদান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন।
এছাড়া নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা গতকাল বুধবার বিকালে রংপুরে আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর সরকারি কলেজের অডিটোরিয়ামে তিনি প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
১ হাজার ৩৪৯টি ভোট কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা এবং ২৩০টি কেন্দ্রে প্রতিটি কেন্দ্রে ২টি করে সিসি ক্যামেরাসহ মোট ১ হাজার ৮শ সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে। এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারদের ইভিএম বিষয়ে দুই দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত ইভিএম নির্বাচন ভবনে রাখা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মনোনীত ব্যক্তিরা ইভিএম কাস্টমাইজেশন সেন্টারে উপস্থিত হয়ে কাস্টমাইজেশনের বিভিন্ন দিক অবলোকন করতে পারবে এমন ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন প্রশিক্ষিত দুইজন কর্মকর্তা/কর্মচারী কারিগরি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ভোট গ্রহণের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ভোট গ্রহণের আগের দিন ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের বিপরীতে ব্যালট ইউনিটে প্রতীক সন্নিবেশিত রয়েছে কিনা তা ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে প্রিসাইডিং অফিসার যাচাই করবেন।
সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা পুলিশ এখনো তাদের হাতে দেননি।