পদ্মা সেতুর পর দেশের ইতিহাসে আরেকটি উন্নয়নের মাইলফলক রচিত হচ্ছে আজ। ইতিহাসে প্রথম বিদ্যুৎ চালিত স্বপ্নের মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের গর্ব ও আকাক্সক্ষার প্রতীক মেট্রোরেল দেশের নগর পরিবহন ব্যবস্থায় একটি অনন্য সংযোজন। মেট্রোরেল ঢাকা মহানগরীর যাতায়াত ব্যবস্থায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ করবে। আর বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক হিসেবে যুক্ত হবে।
ব্রিটিশ আমল ১৯৬২ সালে এ অঞ্চলে প্রথম রেলপথের যাত্রা শুরু হয়। তখন মানুষ ট্রেন বলতে বুঝত বাষ্পীয় ইঞ্জিনের মাধ্যমে ধীরে চলা একটি রেলগাড়ি। আশির দশকে সেই বাষ্পীয় ইঞ্জিন বাদ দিয়ে শুরু হয় ডিজেল চালিত লোকমোটিভ (ইঞ্জিন) দিয়ে ট্রেন পরিচালনা। রেল বলতে বাংলাদেশের মানুষ এখন আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেনকে বুঝেন। কিন্তু মেট্রোরেল কী সেই অভিজ্ঞতা এদেশের মানুষের এখনো হয়নি।
তাই রেলযাত্রা শুরুর দীর্ঘ ১৬০ বছর পর নতুন সম্ভাবনার দুয়ারে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। প্রযুক্তি-নির্ভর বিদ্যুৎ চালিত এই রেল যোগাযোগের নাম মেট্রোরেল। ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬’র মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার উড়াল পথে চলাচল করবে এই ট্রেন। এই ট্রেনে আসন সংখ্যার থেকে দাঁড়িয়ে বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবে। মাত্র ৩৮ মিনিটে উত্তরা থেকে পৌঁছানো যাবে মতিঝিল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রোরেলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার ও দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
দেশের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্বপ্নের মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টায় রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেল সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এরপর তিনি নিজেই টিকিট কেটে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ট্রেন ভ্রমণ করবেন। উদ্বোধনের পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সাধারণ যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হবে। রাজধানীর উত্তরার উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এই রেলপথে প্রথমদিকে যাত্রী নিয়ে দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টা চলাচল করবে। আগামী তিন মাস এই ব্যবস্থা চালু থাকবে। পরে ধীরে ধীরে যাত্রার সময়, ট্রেন ও স্টেশন সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
স্বপ্নের মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে জনবান্ধব সরকারের আরেকটি সাফল্য অর্জিত হলো। মেট্রোরেলের যাত্রা ঢাকা মহানগরীর যাতায়াত ব্যবস্থায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ করবে। নগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের গর্ব ও আকাক্সক্ষার প্রতীক মেট্রোরেল বাংলাদেশের নগর গণপরিবহন ব্যবস্থায় একটি অনন্য মাইলফলক। আগামী প্রজন্মের জন্য ঢাকা মহানগরীকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় আমরা এগিয়ে যাব নিরন্তর- ইনশাআল্লাহ।
প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী, প্রথম চালক একজন নারী ॥ মেট্রোরেল সার্ভিস উদ্বোধনের পর এতে প্রথম যাত্রী হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রেনটির চালক হিসেবে একজন নারীকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তাই প্রথম ট্রেন চালনার জন্য পুরুষ চালকের পাশাপাশি ছয়জন নারী চালককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২৪ সেট মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য প্রায় ১০০ চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল)’র কর্মকর্তারা জানান।
এ বিষয়ে ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জনকণ্ঠকে বলেন, ‘মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হবেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন কোন ট্রেনে তিনি উঠবেন এবং ট্রেনটি কে চালাবেন, এখন তা বলা যাবে না। তবে ২৪ সেট ট্রেন পরিচালনার জন্য প্রায় ১০০ জন চালককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন নারী চালক রয়েছেন।’
ডিএমটিসিএল’র সূত্র জানায়, ছয়জন নারী চালক নিয়ে দেশের প্রথম মেট্রোরেল যাত্রা শুরু করবে। যাদের মধ্যে মরিয়ম আফিজাকে প্রধানমন্ত্রী বহনকারী ট্রেনটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সেজন্য তাকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকে কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে মেট্রোরেলের চালক হিসেবে নিয়োগ পান মরিয়ম আফিজা।
এ বিষয়ে মেট্রোরেলের নারী চালক মরিয়ম আফিজা বলেন, ‘২০২১ সালের ২ নভেম্বরে আমি নিয়োগ পাই। এর আগে চালক হিসেবে কোথাও কাজ করিনি। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে আমি কয়েকটি ট্রেনিং করেছি। এখনো ট্রেনিংয়ের মধ্যেই আছি। আমি চালক হিসেবে ট্রেনিংয়ের সব ধাপ পেরিয়েছি, এখনো চালাচ্ছি, যাত্রী নিয়ে চালানো হয়ত কিছুদিনের মধ্যেই শুরু করব।’
প্রতিটি ট্রেনে ২৩০৮ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে ॥ সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) হবে মেট্রোরেলের প্রতিটি কোচ। দুই প্রান্তে দুটি চালক কোচ (ট্রেইলর কার) সহ মোট ৬টি কোচ থাকবে একটি ট্রেনে। দুটি চালক কোচে ৪৮ জন করে যাত্রী বসতে পারবে। বাকি চারটি কোচে (মোটরকার) ৫৪ জন যাত্রী বসার ব্যবস্থা থাকবে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে ৩০৬ জন বসতে পারবে। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবে। দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতল এবং স্থানে স্থানে খুঁটি আছে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে এবং দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে।
কোচের ভেতরে দুই সারিতে সবুজ রঙের লম্বা আসন রয়েছে। ট্রেনের কোচগুলো এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে স্টেশনে থামার পর এর মেঝে একেবারে প্ল্যাটফর্মের সমতলে থাকে। এতে সহজেই যাত্রীরা হেঁটে ট্রেনে উঠতে পারবে। কোচের দুপাশে চারটি করে দরজা। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা। পুরোপুরি চালু হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রোরেলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার ও দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
মেট্রোরেলের সর্বনি¤œ ভাড়া ২০ টাকা ॥ গত ৮ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। এতে উল্লেখ করা হয়, মেট্রোরেলের যাত্রীর জন্য প্রতি কিলোমিটার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ টাকা। সর্বনি¤œ ভাড়া ২০ টাকা। সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা। তবে স্থায়ী টিকিট হিসেবে মেট্রোরেলের ভাড়া স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ রেয়াত প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবেন। পাশাপাশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিগণের প্রতিটি সিঙ্গেল যাত্রার জন্য বিশেষ রেয়াতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি স্টেশনের ভাড়া হলো : উত্তরা উত্তর থেকে উত্তরা সেন্টার ও দক্ষিণ পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা, পল্লবী ও মিরপুর-১১ পর্যন্ত ভাড়া ৩০ টাকা, মিরপুর-১২ ও কাজিপাড়া পর্যন্ত ৪০ টাকা, শেওড়াপাড়া পর্যন্ত ৫০ টাকা, আগারগাঁও পর্যন্ত ভাড়া হবে ৬০ টাকা। এ ছাড়া উত্তরা থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত ভাড়া হবে ৬০ টাকা, ফার্মগেট পর্যন্ত ৭০ টাকা, কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ৮০ টাকা, শাহবাগ পর্যন্ত ৮০ টাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সচিবালয় পর্যন্ত ৯০ টাকা, মতিঝিল ও কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা।
মেট্রোরেলে ভ্রমণ হবে টিকিট পাঞ্চের মাধ্যমে ॥ দুই ধরনের টিকিট নিয়ে চলাচল করা যাবে। প্রথমটি সিঙ্গেল জার্নির জন্য, দ্বিতীয়টি এমআরটি পাস (স্থায়ী টিকিট) পারমানেন্ট জার্নির জন্য। সিঙ্গেল জার্নির জন্য যাত্রীকে প্রতিবার যাত্রার আগে টিকিট কাটতে হবে। যাত্রা শেষে টিকিট স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিয়ে আসতে হবে। এই টিকিট জমা না দিলে দরজা খুলবে না, ফলে যাত্রী স্টেশন থেকে বের হতে পারবে না। এমআরটি পাসের জন্য যাত্রীকে একবার একটি টিকিট কিনলেই হবে। টাকা শেষ হলে রিচার্জ করতে হবে। এই টিকিট যাত্রীকে স্টেশনে জমা দিতে হবে না। যাত্রীর কাছেই এই টিকিট থাকবে।
যাত্রী পারাপারে কনকোর্স লেভেল ॥ এমআরটি লাইন-৬ বা দেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল লাইনে মোট ১৭টি স্টেশন থাকবে। প্রতিটি স্টেশনে কনকোর্স লেভেল বা যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা থাকবে। এই লেভেলে ওঠার জন্য প্রতিটি স্টেশনে সিঁড়ি, লিফ্ট এবং এস্কেলেটর থাকবে। এই সিঁড়ি, লিফ্ট এবং এস্কেলেটর ব্যবহার করে শুধুমাত্র মেট্রো ট্রেন চলাচলকালীন কনকোর্স লেভেল দিয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া যাবে। তবে পেইড জোন এলাকায় ও প্লাটফর্মে যাওয়া যাবে না। পথচারীগণ রাস্তা পারাপারের জন্য এই ব্যবস্থাকে ফুট ওভারব্রিজের অতিরিক্ত সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ॥ মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে উত্তরা ডিপো এবং মতিঝিল এলাকায় দুটি রিসিভিং সাবস্টেশন থাকবে। মতিঝিল রিসিভিং সাবস্টেশনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) মানিকনগর গ্রিড সাবস্টেশন থেকে ১৩২ কেভির দুটি পৃথক সার্কিট এবং উত্তরা রিসিভিং সাবস্টেশনে পিজিসিবি এর টঙ্গী গ্রিড সাবস্টেশন থেকে ১৩২ কেভির একটি সার্কিট ও ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) উত্তরা গ্রিড সাবস্টেশন থেকে ১৩২ কেভির অপর একটি সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।
উভয় রিসিভিং সাবস্টেশনে ব্যাকআপ হিসেবে একটি করে অতিরিক্ত ট্রান্সফর্মার থাকবে। পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ডেসকোর ৩৩ কেভি সাবস্টেশন থেকে শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকবে। ফলে মেট্রোরেল পরিচালনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা নেই। কোনো কারণে কোনো সময় জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে মেট্রোরেলের এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (ইএসএস) থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে মেট্রো ট্রেনকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা হবে।
এটি মূলত ব্যাটারি ব্যাকআপ সিস্টেম যা মেট্রো ট্রেনের রিজেনারেটিভ ব্রেকিং এনার্জি দ্বারা নিয়মিত চার্জ হতে থাকবে। এমআরটি লাইন-৬ বা বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল পরিচালনায় ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম (ওসিএস)’র এ ১৫০০ ভোল্ট ডিসি ব্যবহৃত হবে। মেট্রো ট্রেনসমূহ প্যান্টোগ্রাফের সাহায্যে ওসিএস থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
মেট্রোরেল ব্যয় ॥ বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল বা এমআরটি লাইন-৬ এর প্রাক্কলিত (সংশোধিত ২য়) ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা প্রকল্প সহায়তা করছে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। জিওবি ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের ২৬ জুন। আজ বুধবার রাজধানীর উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেলপথে সার্ভিস চালু করা হবে। পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।