যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে এই এক্সপোর প্রস্তাবক ও বাস্তবায়ক বাংলাদেশ ক্যাটল ফারমারস অ্যাসোসিয়েশন। এক্সপোর মূল উদ্দেশ্য গরু হৃষ্টপুষ্টকরণে খামারিদের উৎসাহী করা ও দেশের মাংসজাত শিল্পের উন্নয়ন ঘটিয়ে উৎপাদন বাড়ানো।
৬ও৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই এক্সপোতে ১৫০টি গরু প্রদর্শনী প্যাভিলিয়ন থাকবে। যাতে ঢাকা বিভাগের ১৫০ জন খামারি অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া উন্নত জাতের ৬০০টি গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা ও ভেড়া প্রদর্শিত হবে।
এ ছাড়া থাকবে ৩০টি স্টল। যেগুলোতে খামারসংশ্লিষ্ট অ্যাগ্রো টুলস কম্পানি, ওষুধ কম্পানি, গোখাদ্যের কম্পানি নিজেদের পণ্য প্রদর্শনের জন্য তুলে ধরবে।
মেলায় আগত অতিথিদের জন্য ফুড কোর্ট এবং বাচ্চাদের খেলার জন্য বিশেষ জায়গার ব্যবস্থাও থাকছে।
মেলায় দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের সংগ্রাহক ও অভিজ্ঞ খামারিদের নিয়ে বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। যুব উদ্যোক্তাদের খামার করায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে খামার বিষয়ক বিভিন্ন ওয়ার্কশপ এবং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ক্যাটল এক্সপোর লোগো উন্মোচন করেন। ক্যাটল এক্সপো নিয়ে বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৈচিত্র্যময় ক্যাটল এক্সপো। এই এক্সপো থেকে খামারিরা সমৃদ্ধ হবেন। উন্নত জাতের গরু পালন সম্পর্কে জানতে পারবেন। তারা একে অপরের সঙ্গে ভ্রূণ এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন। এর ফলে দেশে মাসাংশী গরু উৎপাদনে নতুন বিপ্লব সৃষ্টি হবে।
ডেইরি সান খামারের মালিক ও মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মাসুদুল ইসলাম জিসান বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ মাসাংশী জাতের গরু উৎপাদনে অনেক দূর এগিয়েছে। আমাদের দেশে অপার সম্ভাবনা থাকার পরও পিছিয়ে আছি। এর প্রধান কারণ উন্নত জাতের গরুর অভাব। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকেও বিদেশি উন্নত জাতের ষাঁড় গরুর বীজ আনার আহ্বান জানানো হবে এই এক্সপো থেকে। তাহলে দেশে মাংসের দাম অনেক কমে আসবে। ’