মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল ষাঁড় প্রদর্শনী বা ফ্যাশন শো, ছিল রোগমুক্ত গরু চেনার উপায়, খামারি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সেমিনার। তরুণদের আয়োজন যে ব্যতিক্রমী এই এক্সপো তার বড় প্রমাণ।
সংগঠনের সহসভাপতি ওয়াসিফ আহমেদ সালাম হচ্ছে এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গার্মেন্ট ব্যবসায়ী এম এ সালামের ছোট ছেলে। ওয়াসিফ লন্ডনের সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নিয়ে হাটহাজারীতে গড়ে তুলেছেন খামার। পড়তে যাওয়ার আগেই শখের বশে গরু পালন শুরু করেন, সেমিস্টারের ফাঁকে শিক্ষা ছুটিতে যখন দেশে আসেন তখনই এই সময়টা কাজে লাগান খামারে। ২০২১ সালে পড়া শেষ করে পুরোদমে মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি। ওয়াসিফ বলেন, ‘শুরুর পুঁজি ছিল ঈদ বকশিশের জমানো আড়াই লাখ টাকার তিনটি গরু। গত কোরবানিতে ৪৫০টি গরু বিক্রি করেছি। এই কোরবানিতে ৫৫০ থেকে ৬০০ গরু বিক্রির লক্ষ্য আছে।’
এই খাতে বিনিয়োগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে সবাই শখের বসেই গরু পালন শুরু করেন। পরে শখকে বিজনেসে রূপান্তর করেছেন। এই সেক্টর খুব দ্রুত এগোচ্ছে, ফলে নতুন প্রযুক্তি আর আধুনিক জ্ঞান দিয়ে আমরা সফল হচ্ছি। এ জন্যই নতুনরা এই খাতে আসছেন।
কন্টিনেন্টাল গ্রুপের মালিক আহসান ইকবাল চৌধুরী আবীরের শিপিং সেক্টরে আছে বিশাল ব্যবসা। তার ছেলে আলী ইকবাল চৌধুরীও অস্ট্রেলিয়া থেকে ডিগ্রি নিয়ে বড় বিনিয়োগে গড়ে তুলেছেন সারাহ এগ্রো।