মহিলা ও ন্সে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ সেনা প্রদাকারী দেশ। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ২ হাজার ৩শ ৯৭ জন নারী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে এবং বর্তমানে ৫শ ৭৯ জন নারী বিভিন্ন মিশনে নিয়োজিত আছে। এর বাইরেও দক্ষিণ সুদান ও সোমালিয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের চারজন নারী বিচারক সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়ে শান্তিরক্ষী বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তা প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সংঘাতপূর্ণ ও অস্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করে নারীর ক্ষমতায়ন এবং জেন্ডার সমতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ ২০১৬ সালে আইভরিকোস্টে জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথম দেশ হিসেবে নারী সামরিক কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোতায়েন করে। নারী শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতি স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন জেন্ডার ভায়োলেন্স রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, নারীর সুরক্ষা, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন পরিচালনাসহ আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের আর্মড ফোর্সেস মন্ত্রী জেমস হিয়াপীর সভাপতিত্বে এ সেশনে আলোচক ছিলেন ন্যাটোর মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ইরেন ফেলেন, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মেজর চারমেইনে গেলডেনহুয়েজ, জেনেভা সেন্টার ফর সিকিউরিটি সেক্টর গভর্নেন্সের ড. মেগান বাসটিক এবং বিপিএসটি’র জেন্ডার এ্যাডভাইজার ড সেল্লাহ কিং ওরো। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল।
এ কনফারেন্সে বিশ্বের ৭০টির বেশী দেশের প্রতিনিধি, শান্তিরক্ষা মিশনের প্রতিনিধি ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছে।