বাংলাদেশিদের বিদেশে বাড়ি, গাড়ি, সম্পত্তি সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশ হয়েছে তা সত্য কী না জানতে চেয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। এ বিষয়গুলো তদন্তের দাবি করে তিনি এ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
গত রবিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভপতিত্ব করেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের যারা মধ্যপ্রাচ্যে কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করে দেশে টাকা পাঠায়। কিন্তু যারা ইউরোপ-আমেরিকায় থাকে..তারা তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে যদি বৈধ পথে টাকা নিলে আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু এই দেশ থেকে অবৈধ পথে ডলার, বৈদেশিক মুদ্রা নিচ্ছে। সেটা কেন? কীভাবে নিচ্ছে? তা দেখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অবশ্যই দেখা দরকার। কী একটা পরিস্থিতি হরে পরাষ্ট্র সচিব দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। তিনি বলেছেন, ওই সমস্ত দেশ থেকে এত পাওয়ার অব অ্যান্টর্নি এটাচ করার জন্য আসছে যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে, এটা বিশাল ঘটনা। আবার দেখলাম ওয়াসার একজন চেয়ারম্যানের আমেরিকায় ২৩টা বাড়ি। আমাদের সংসদের দুই একজন সদস্য সম্পর্কে এ রকম প্রশ্ন আসছে এবং আরও কিছু ইঙ্গিত আসছে।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমি সরকারের কাছে, অর্থমন্ত্রী এখানে নেই। অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো এই সমস্ত নিউজের সত্যতা আছে কী না, কারণ আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আগেই বলেছিলেন কানাডায় বেগম পাড়ায় যারা যারা বাড়ি করছেন তাদের মধ্যে অনেক আমলা আছে। এই সমস্ত জিনিসগুলোর তদন্ত হওয়া উচিত। এসব ঘটনা সরকারের ইমেজ ক্ষুন্ন করে। আগামীর যে নির্বাচন, সেখানে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে যে সংবাদ আসে এতে সরকারের ইমেজ ক্ষুন্ন হয়। আমরা বিরোধী দলে আছি, আমাদেরও ইমেজ ক্ষুন্ন হয়। দেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে। এমপি, মন্ত্রী হলেই শত শত কোটি টাকা আয় করে। বিদেশে বাড়ি-ঘর করে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর মুখ খোলা উচিত। তিনি, তাঁর বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এগুলো কীভাবে কি হচ্ছে এর তদন্ত করে স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া উচিত।