জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলার অন্যতম প্রয়োজন সময়োপযোগী বিনিয়োগ। এতে করে একটি দেশ যেমন বিলিয়ন ডলার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে, একই সঙ্গে আগামী দশকে দেশের জিডিপিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, তা প্রতিরোধ করাও সম্ভব হবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ধরে নেওয়া হয়েছে, প্যারিস চুক্তি মোতাবেক বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা হচ্ছে। তবে এটি বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে দাঁড়ালে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি হতে পারে এবং বিনিয়োগ না করা হলে সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। জলবায়ু অভিযোজন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলগুলোতে উপকূলীয় বাঁধ-সুরক্ষা নির্মাণ করা, খরাপ্রতিরোধী ফসলের বিকাশ এবং ভবিষ্যৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
বিশ্বব্যাপী প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যগুলো অর্জন সম্ভব হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর কৌশলের পাশাপাশি বৈশ্বিক ডিকার্বনাইজেশন এজেন্ডাগুলো অনুসরণ করতে হবে। অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার মারিসা ড্রিউ বলেন, ‘এ প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং যতটা সম্ভব ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং প্রভাবগুলোর বাস্তবতা মেনে ও মানিয়ে নিতে হবে। দেশ ও জাতির কৃষি, শিল্প ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আরো উন্নত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।