৯২ ভাগ মুসলমান দেশের পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাসের সঠিক উপস্থাপন দেখতে চায় জনগণ বলে দাবি করেছেন ইসলামী ঐক্যজোটের নেতারা। শিক্ষা সিলেবাসকে ইসলাম বিরোধী দাবি করে অবিলম্বে তা বাতিল করার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
‘ইসলাম বিরোধী শিক্ষা সিলেবাস বাতিল, দূর্নীতির মূলোৎপাটন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও দেশে ইসলামী হুকুমত কায়েমের দাবিতে’ এই কর্মসূচি পালন করে ইসলামী ঐক্যজোট।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাসের মাধ্যমে দেশের নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। পাঠ্য বইয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ঈমানহারা করার পাঁয়তারা চলছে।
তিনি বলেন, অবিলম্বে ইসলামবিরোধী বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা অনুযায়ি আলেমদের তত্বাবধানে নতুন শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। একই সঙ্গে এই সিলেবাস প্রণয়নে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এ সময় সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করায় সরকারকে সাধুবাদ জানান হাসানাত আমিনী।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, ইসলামের মৌলিক বিধি-বিধানের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য। বর্তমান শিক্ষা সিলেবাসে এই বিধি-বিধানের উপর চূড়ান্তভাবে আঘাত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রতিটি থানায় থানায় যে সব মডেল মসজিদ হচ্ছে সেখানে দেশের হক্কানী আলেমদের ইমাম ও খতিব নিয়োগ দিতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মুফতি আব্দুল কাইয়্যুম, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মাওলানা আবুল খায়েল বিক্রমপুরী, মুফতী যোবায়ের আহমদ কাসেমী, মুফতি আব্দুল কাইয়্যুম, মুফতি রহমতুল্লাহ বুখারী, মুফতি খোরশেদ আলম, মাওলানা নুরুজ্জামান, ছাত্রনেতা আবুল হাসিমসহ আরও অনেকে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূণরায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে এসে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।