জাফর সাদেক। পূর্বাচল এস্টেট-২ এর পরিচালকের অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সামান্য বেতনের কর্মচারী হলেও রাজধানীর আফতাবনগরে আট তলা ভবন ও শান্তিনগরে আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে তার। নামে-বেনামে রয়েছে আরও অঢেল"/>
Home জাতীয় অঢেল সম্পদের মালিক রাজউকের অফিস সহকারী

অঢেল সম্পদের মালিক রাজউকের অফিস সহকারী

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

জাফর সাদেক। পূর্বাচল এস্টেট-২ এর পরিচালকের অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সামান্য বেতনের কর্মচারী হলেও রাজধানীর আফতাবনগরে আট তলা ভবন ও শান্তিনগরে আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে তার। নামে-বেনামে রয়েছে আরও অঢেল সম্পত্তি। দেড় যুগ ধরে রাজউকের চাকরি জীবনে তিনি অবৈধ প্লট বিক্রি, নক্সা পাস ও অনুমোদন করিয়ে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনেছেন। রাজউক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতিও তিনি।

এসব প্রভাব খাটিয়ে তিনি অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। নানা তদ্বিরের কারণে তিনি অফিসও করেন না। শুধু অভিযোগ নয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরেজমিন অভিযানেও প্রমাণ মিলেছে। দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে আগে-ভাগেই পালিয়ে যান জাফর সাদেক। পরে তাকে বার বার ফোন করে পাওয়া যায়নি। রাজউকের এই কর্মচারীর নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিনভর দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজীর নেতৃত্বে একটি টিম রাজউক, শান্তিনগর ও আফতাবনগরে বিশেষ অভিযান চালায়।
অভিযানে দুদক টিম রাজউক কর্মচারী জাফর সাদেকের আফতাবনগরের ডি ব্লকের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর রোডের ২৯ নম্বরে ৮ তলা নূর আহমেদ ভিলায় যান। অভিযান টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। পরে দুদক টিম তার রাজধানীর শান্তিনগরের মেহমান টাওয়ারে এক হাজার ৬০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালায়। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ থেকেও তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বুধবার দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জনকণ্ঠকে জানান, রাজউকের কর্মচারীর বিরুদ্ধে অবৈধ প্লট বিক্রি, নক্সা পাস ও অনুমোদন করিয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। তিনি বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত পায়।

এমনকি তার সহকর্মীরাও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। অভিযোগে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে টিম ওই ব্যক্তির অবৈধ সম্পদের সন্ধানে আফতাবনগর ও শান্তিনগরে গেলে তার সম্পদের অস্তিত্ব থাকার প্রাথমিক সত্যতা পায়। এছাড়া আশপাশের স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সম্পদশালী বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
দুদক সূত্র থেকে জানা গেছে, এক মন্ত্রীর সুপারিশে ২০০৬ সালে রাজউকের অফিস সহকারী পদে চাকরি পান জাফর সাদেক।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment