প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.০ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ভোক্তা মূল্যস্ফীতি থাকবে ৭.৪ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২০২৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি কমে হবে ২.৫ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ২০২২ সালে সংকুচিত হয় ৯ শতাংশ, ২০২৩ সালে সংকুচিত হবে ৩.২ শতাংশ। এ বছর ভারতের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি আসবে ৫.৮ শতাংশ। ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৪ শতাংশ।
সংস্থা জানায়, অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, ভুটান, লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, নেপাল, সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপে এবং সলোমন আইল্যান্ড—এই সাতটি দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কিন্তু ভুটান, সলোমন আইল্যান্ড এবং লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকের রাজস্ব ঘাটতি করোনার পর থেকে বেড়েই চলেছে। যদিও নেপাল ও বাংলাদেশের রাজস্ব ভারসাম্য অপরিবর্তিতই রয়েছে।
বছরের শুরুতে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি ‘বিপজ্জনকভাবে মন্দার কাছাকাছি’। আর সেই মন্দার আঁচ লাগবে বাংলাদেশেও। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৫.২ শতাংশ। এর পাশাপাশি উচ্চমূল্যস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জেরে বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে। বিশ্ব অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে শ্লথ হচ্ছে। এ বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ১.৭ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক আরো জানায়, বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের জন্য উচ্চমূল্যে জ্বালানি আমদানি কঠিন হয়ে পড়ে। এতে গৃহস্থালি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে জ্বালানি সরবরাহ করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এমনকি জ্বালানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং সরবরাহ জটিলতায় শিল্প উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে। যেখানে গত মার্চে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছিল। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।