তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের এতো আওয়াজ, এতো লাল কার্ড কোথায় গেলো? সব গোলাপবাগের গরুর হাটে। বিএনপির আন্দোলন গুরুতর আহত। মাঝে মাঝে মনে হয় পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে। এতো লাফালাফি পতনটা নিজেদেরই হবে। অপেক্ষা করুন। ধৈর্য্য ধরুন। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি করে যাবো। কোনো পাল্টপাল্টি নয়। আমরা এক বছরের কর্মসূচি দিয়ে রেখেছি, কখনো শান্তি সমাবেশ, কখনো সম্মেলন, কখনো গণসংযোগ।
রোববার বিকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ভুয়া, পদযাত্রা, পতনযাত্রা এটাও ভুয়া। লোক কমে যাচ্ছে। মিছিলে প্রস্থে লোক বাড়ে, লম্বায় কমে গেছে। তার মানে সব নেতা। সামনে নেতা পেছনের কর্মীরা চলে যাচ্ছে। কতো স্বপ্ন দেখিয়ে কর্মীদের হাড়ি-পাতিল-লোটা-কম্বল-মশারী সব নিয়ে পাতিলেল পর পাতিল খাবার তৈরি হচ্ছে মির্জা আব্বাসের ওখানে। সেসব কোথায় গেলো?
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুলের মন ভালো নেই। তারেক রহমানের আসল লোক আমির খসরু। মির্জা ফখরুল কি করবে? সংসদ সদস্য হয়ে ধমকের চোটে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। বড় দলের মহাসচিব পদ এই লোভ সামলায় কতোজন?
বিএনপিকে নিয়ে এতো ভাবনার দরকার নাই: ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে সারাদেশে পদযাত্রা। কয়টা ইউনিয়নে তাদের পদযাত্রা হয়েছে? পদযাত্রায় দেখলাম আবারো আগুন সন্ত্রাস। ১৭/১৮টা মোটর সাইকেলে সিরাজগঞ্জে কারা পোড়াল? এরা হলো বিএনপির ক্যাডার, সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে পারি না। এই বিএনপি সাম্প্রদায়িকতার পৃষষ্ঠপোষক, জঙ্গিবাদের ঠিকানা।
তিনি আরও বলেন, মহিলারা এখন তো ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়ান। বিএনপি-জামায়াত আসলে আর পারবেন না। আফগানিস্তানে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে দেয় না, স্কুরে পরতে দেয় না, হিজাব ছাড়া বের হতে পারে না।
বিশ্বসংকটে মানুষের কিছুটা কষ্ট হলেও বাংলাদেশের মানুষ অনেক দেশের চেয়ে ভালো আছেন জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বলবো না বেহেস্তে আছেন। এমন কথা যারা বলে ঠিক বলেন না। মানুষ কষ্টে আছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে। জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে। এটা আমাদের দোষ না। দোষ হলো যুদ্ধের, নিষেধাজ্ঞার। এর শাস্তি পাচ্ছি আমরা।