বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান দেশের নবনির্বাচিত ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ "/>
Home Lead 1 প্রজ্ঞাপন জারি ৷৷ মোহাম্মদ  সাহাবুদ্দিন ২২তম রাষ্ট্রপতি ৷৷ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যান নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি

প্রজ্ঞাপন জারি ৷৷ মোহাম্মদ  সাহাবুদ্দিন ২২তম রাষ্ট্রপতি ৷৷ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যান নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান দেশের নবনির্বাচিত ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি বঙ্গভবনে যান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা সেখানে উপস্থিত থাকেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।এর আগে, সোমবার বিকেলে মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় মো. সাহাবুদ্দিনকে ফোন করে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ সময় তারা পরস্পর কুশল বিনিময়ও করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী এপ্রিল মাসে। এর আগে, সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল হয়েছে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। ওই সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ থাকলেও একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত হন মো. আবদুল হামিদ।
মোহাম্মদ  সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৭নং আইন) এর ধারা ৭ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধিমালা, ১৯৯১ এর বিধি ১২ এর উপ-বিধি (৬) অনুসারে নির্বাচনী কর্তা ও নির্বাচন কমিশনার এর ঘোষণা মোতাবেক জনাব মো. সাহাবুদ্দিন, পিতা-মরহুম শরফুদ্দিন আনছারী, বাসা/হোল্ডিং-৮৮/১, গ্রাম/রাস্তা: শিবরামপুর, পাবনা পৌরসভা, ডাকঘর-পাবনা, পোস্ট কোড-৬৬০০, উপজেলা-পাবনা সদর, জেলা-পাবনা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হইয়াছেন।’
এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচনী কর্তা কাজী হাবিবুল আউয়াল মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। গত রোববার রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর দুটি মনোনয়নপত্র নির্বাচনি কর্তার কাছে জমা দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। মনোনয়নপত্র দুটি বাছাই করেন এ নির্বাচনের নির্বাচনি কর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। একাধিক প্রার্থী না থাকায় এ পদে ভোট  হয়নি। মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা         আনুষ্ঠানিতা পেরিয়ে বাস্তব রুপলাভ করে। তিনিই বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে চমক দেখিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।গত রোববার তার পক্ষে   মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর নাম। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুই সপ্তাহ ধরে অন্য      কয়েকজনের নাম প্রকাশিত হয়। রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়ে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তবে জমা দেয়ার সময়ে তিনি নির্বাচনি কর্তার কার্যালয়ে যাননি। তাঁর পক্ষে বেলা ১১টা ও ১১টা ৫ মিনিটে দুটি মনোনয়নপত্র জমা দেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। তখন তিনি ইসির অন্য আরেকটি রুমে অবস্থান করছিলেন। দুটি মনোনয়নপত্রেই প্রস্তাবক ছিলেন ওবায়দুল কাদের। আর সমর্থক ছিলেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর তাৎক্ষণিক       প্রতিক্রিয়ায় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, শুকরিয়া। ভালো লাগছে। সবই সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছা। এ সময় তাঁকে মনোনয়ন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান। এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় মো. সাহাবুদ্দিনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ সাধারণ      সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর ওবায়দুল কাদের নতুন রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত পরিচয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসাবে মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং দলের পার্লামেন্টারি পার্টির প্রধান শেখ হাসিনা এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইতঃপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার বিভাগে) ক্যাডারে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসাবে নির্বাচিত হন। মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মী দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্রসন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্মসচিব ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পদে রোববার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। এদিন রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে সকাল সাড়ে ১০টার পর নির্বাচন কমিশনে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, নূর-ই আলম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. সেলিম মাহমুদসহ সিনিয়র নেতারা। এরপরই সেখানে আসনে মো. সাহাবুদ্দিন। তার পক্ষে রোববার দুটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল। ঐ ফর্মে মো. সাহাবুদ্দিনের সই নিয়ে তা সিইসির হাতে তুলে দেন নেতারা। পরে তারা ইসি থেকে বেরিয়ে যান। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সিইসির পক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে দুটি আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এ দুটি আবেদন আগামীকাল (সোমবার) দুপুর একটা থেকে বাছাই করা হবে। বাছাইয়ের পর যেটা টিকবে, নির্বাচনি কর্তা তা আপনাদের অবহিত করবেন। তিনি বলেন, ‘বাছাইয়ের পরে বৈধ মনোনয়নপত্র যেগুলো হবে, তাদের নাম আপনাদের সম্মুখে ঘোষণা করব এবং আইনানুগভাবে প্রত্যাহারের শেষ তারিখে (১৪ ফেব্রুয়ারি) আমরা চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করব যে কে বাংলাদেশের পরবর্তী মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হলেন। তবে যেহেতু একজনমাত্র প্রার্থী, মানে এক ব্যক্তিরই দুটি মনোনয়ন ফর্ম জমা হয়েছে, সুতরাং কাল বাছাইয়ে যদি দুটি আবেদন টিকে যায়, তাহলে কালকে এটা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’ একই ব্যক্তির দুটি আবেদন প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, তিনটি পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ আছে। প্রসঙ্গত, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ ২৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেখানে অধিষ্ঠিত হবেন মো. সাহাবুদ্দিন।

নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোঃ সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার এক বিবৃতিতে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পার্লামেন্টারি পার্টির প্রধান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন প্রদান করেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৭নং আইন)-এর ধারা ৭ মোতাবেক মোঃ সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাহাবুদ্দিন তাঁর জীবন ও কর্মের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারার মানুষের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বৃহত্তম পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে মোঃ সাহাবুদ্দিন দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য মরনপণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মজীবনের অধিকারী। অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ এই কর্মবীর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় দেশের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও অভিবাদন জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা মনে করি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে মোঃ সাহাবুদ্দিন তাঁর যোগ্যতা-দক্ষতা এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে আরও গতিশীল করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুমহান আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে অবিচল থেকে আগামী প্রজন্মের জন্য অসাম্প্রদায়িক-প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে দিক-নির্দেশনা দেবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে উদ্ভাসিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে তিনি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের চলমান সংগ্রামে অন্যতম সারথির ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। একই সাথে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি, নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত পবিত্র সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবেন। পাশাপাশি সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করবেন।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাষ্ট্রপতি পদে স্বীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবুদ্দিনের সার্বিক সফলতা প্রত্যাশা এবং একই সাথে নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

নিজ মাটির  সন্তান নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত : আনন্দে ভাসছে পাবনা

নিজ মাটির  সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দে ভাসছে তার নিজ জেলা পাবনার বাসিন্দারা। গত সোমবার মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার শামসুল হক টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, মকবুল হোসেন এমপি, আহমেদ ফিরোজ কবীর এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ^াস এমপি, নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, পাবনা পৌরসভা মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, সাধারণ সম্পাদক শহীদুর রহমান শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, চেম্বার্স অব কমার্স, জেলা আইনজীবী সমিতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ব্যক্তিমো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। শুরু হয় মিষ্টি মুখ, আনন্দ উল্লাস ও আনন্দ মিছিল। জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক পথচারী ও রিকশাচালকদের মিষ্টি মুখ করান। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লালের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের করা হয়।  শহরের রাধানগর মজুমদার একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি সোহেল হাসান শাহীনের নেতৃত্ব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে অপর একটি আনন্দ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শরফুদ্দিন আনছারী ব্যবসায়ী ও মাতা খায়রুন্নেসা গৃহিনী ছিলেন। ৪ ভাই ও ৬ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment