ছুটির দিনে একুশে বইমেলায় প্রবল ভিড় হয়। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে এর ব্যত্যয় ঘটেনি। গতকাল বইমেলা প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। সকাল ১১টায় মেলা শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। সকাল থেকে অ"/>
Home শিক্ষাঙ্গণ যেমন জনস্রোত তেমন বিক্রি

যেমন জনস্রোত তেমন বিক্রি

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel
ছুটির দিনে একুশে বইমেলায় প্রবল ভিড় হয়। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে এর ব্যত্যয় ঘটেনি। গতকাল বইমেলা প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। সকাল ১১টায় মেলা শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। সকাল থেকে অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়ে মেলায় এসেছিলেন। তবে জনস্রোত শুরু হয় দুপুরের পর থেকে। সন্ধ্যায় সব প্রবেশমুখে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বইপ্রেমী বিপুলসংখ্যক মানুষকে। এ দৃশ্য অব্যাহত ছিল রাত ৮টা পর্যন্ত। আর মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিটি স্টলে বিক্রয়কর্মীরা কাটিয়েছেন ব্যস্ত সময়।
সন্ধ্যা ৬টায় মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে প্রবেশের মূল গেটে তৈরি হয় দীর্ঘ লাইন। সেখানে মা-বাবার সঙ্গে অপেক্ষা করছিল স্কুলপড়ুয়া নাবিল আহমেদ। লাইনে দাঁড়িয়ে বারবার মা-বাবাকে প্রশ্ন করছিল-‘আজ কি বইমেলার শেষ দিন? এত মানুষ কেন?’ তার ঠিক পেছনে দাঁড়ানো এক তরুণ জানালেন, টিএসসি গেট দিয়ে প্রবেশ করতে না পেরে তিনি এই গেটে এসেছেন। এখানেও ২০ মিনিট ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। মানুষের তীব্র ভিড়ে মন্দিরের গেটে একপর্যায়ে কিছুটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে প্রবেশের পর তথ্যকেন্দ্র থেকে মাইকে ভেসে আসছিল একটি শিশু হারিয়ে যাওয়ার খবর। মাইকে ভিড়ের মধ্যে সবাইকে সাবধানে থাকতে বলা হচ্ছিল বারবার।

গতকাল ছিল বইমেলার ১৭তম দিন। সামনে রয়েছে আরো একটি শুক্রবার। গতকাল নানা বয়সী বইপ্রেমী মানুষের পদচারণে মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। প্রকাশ সংস্থার স্টলগুলোতে বিক্রিও হয়েছে বেশ। বেচাবিক্রি নিয়ে লেখক-প্রকাশকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গতকাল অনন্যা প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে বসেছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। ভক্তপাঠকদের অটোগ্রাফ দিতে দিতে ব্যস্ততম একটি দিন কাটিয়েছেন তিনি। অনন্যার প্রকাশক মনিরুল হক জানান, ইমদাদুল হক মিলনের লেখকজীবনের ৫০ বছরের নানা দিক নিয়ে লেখা ‘যে জীবন আমার ছিল’ গ্রন্থটি এবার মেলায় তাঁদের প্যাভিলিয়নে বিপুল বিক্রি হচ্ছে। এরই মধ্যে গ্রন্থটির দ্বিতীয় মুদ্রণ মেলায় এসেছে। মনিরুল হক বলেন, ‘বেচাকেনা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। প্রচুর মানুষ মেলায় আসছেন, বেচাবিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে।’

নতুন বই : গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ২৭৬টি। এর মধ্যে কবিতার বই ৮২টি, উপন্যাস ৪৪টি আর গল্পের বই এসেছে ৩৫টি। অনুপম প্রকাশনী মেলায় এনেছে অভীক রায়ের ‘উপমহাদেশে গণিতের ইতিহাস ইতিহাসের গণিত’, ধ্রুব এষের ‘মনে রাখবো’,

গ্রন্থকুটি এনেছে সেলিনা হোসেনের ‘সাগর’, বিভাস এনেছে ওবায়েদ আকাশের ‘নির্বাচিত ২০০ কবিতা’, নাগরী এনেছে আন্দালিব রাশদীর ‘সাবলেট’, আইডিয়া প্রকাশন এনেছে দীপু মাহমুদের ‘নরকের কালো মেঘ’, বেঙ্গল পাবলিকেশনস এনেছে পাপড়ি রহমানের ‘আমার একলা পথের সাথি’, চন্দ্রাবতী একাডেমি এনেছে মুহম্মদ নূরুল হুদার ‘বাংলাদেশের কবিতা : সন্ধান ও অনুসন্ধান’ প্রভৃতি।

মূল মঞ্চের আলোচনা অনুষ্ঠান : গতকাল বিকেল ৪টায় মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহীবুল আজিজ। আলোচনায় অংশ নেন অনিরুদ্ধ কাহালি ও মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ আকরম হোসেন।

‘লেখক বলছি’ মঞ্চে গতকাল নিজেদের নতুন বই নিয়ে কথা বলেছেন মাসুদুজ্জামান, ভাগ্যধন বড়ুয়া, ম্যারিনা নাসরিন ও ইউসুফ মুহম্মদ।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment