বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর মাধ্যমে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ আনুষ্ঠানিকভাবে পালন শুরু হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করে ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এরপর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।স্পিকারের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক (টুকু)।
এরপর আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষে হাসানুল হক ইনু, অসীম কুমার উকিল ও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা। এরপরে চিফ হুইপের পক্ষে ইকবালুর রহিম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনারের বেদি। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পরই শহীদ মিনার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সর্বস্তরের মানুষ পলাশীর গেইট হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিনটি গ্রুপে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। এর মধ্যে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ছয়টা, ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা ও পরের দিন সকাল পর্যন্ত কাজ করবে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী।