কানাডাতে প্রতি বছর ১৭০০ থেকে ১৮০০ জন নিহত হন , নিহতদের বাইরে ৭২ হাজারের ওপর আহত হন। এদের মধ্যে মারাত্মকভাবে আহত প্রায় ৮ হাজার মানুষ। এই ৮ হাজার সারা জীবনের জন্য কর্মহীন হয়ে যান। ৩ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশ কানাডাতে বছরে ১ লাখের বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত, মারাত্মক আহত বা সামান্য আহত হওয়া একটি বিরাট ব্যাপার।
গত সোমবার কানাডার অন্টারিও প্রদেশে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। এরা হচ্ছেন শাহারিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বারৈ ও আরিয়ান দীপ্ত। এর আগে ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কানাডার ম্যানিটোবার ‘ইন্টারলেক কমিউনিটি’ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হন। দুর্ঘটনার জায়গাটি ম্যানিটোবার রাজধানী উইনিপেগ থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে। নিহত শিক্ষার্থীরা ছিলেন মোহাম্মদ আরা নূর আজাদ চৌধুরী, আল নোমান আদিত্য ও রাইসুল বাঁধন।
দুর্ঘটনার কারণ :
কানাডায় শীতকালে ড্রাইভিং ভয়াবহ। তুষার ঝড়ের হয় যখন হয় তখন ভিজিবিলিটি জিরো থাকে। কানাডার হাইওয়েগুলিতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার মতো কোনো জায়গা থাকে না, বরফের কারণে রাস্তা থাকে পিচ্ছিল ফলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এই ধরনের রোড কন্ডিশনের সাথে বাংলাদেশিরা আগে থেকে প্রস্তুত থাকে না।
সাধারণত গাড়ি ঠিকমতো চালালে কানাডায় পুলিশ গাড়ি থামিয়ে কারো ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে বেশ কিছু শিক্ষার্থী লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায়। এই ধরনের লাইসেন্স ছাড়া অদক্ষ চালকরা প্রায় সময় দুর্ঘটনার কবলে পরে। তবে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে দুর্ঘটনায় পরলে তখন পুলিশ আর ছাড় দেয় না। সে ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের জরিমানার পাশাপাশি অনেকের ভিসা বাতিল হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।