মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আসা ১৯ বাংলাদেশিকে দ্রুতই কুয়ালালামপুরে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে, রিক্রুটিং এজেন্সি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ (আর এল নং-৪০) কর্তৃপক্ষ। কুয়ালালামপুরে অবস্থানরত এজেন্সির প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ইমিগ্রেশনের ভুলে ভোগান্তির শিকার হয়েছে ওই বাংলাদেশি কর্মীরা, তাদেরকে আবারও আনতে সব খরচ বহন করবে এজেন্সি।
সূত্র বলছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ লিমেটেড ঢাকা থেকে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডি কোম্পানির জন্য ২৯ জন কর্মী পাঠায়। এর মধ্যে মালয়েশিয়ান কোম্পানি গ্রহণ না করায় ১৯ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন।
তবে, রিক্রুটিং এজেন্সি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ (আর এল নং-৪০) প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন এ প্রতিবেদককে বলেন, কোম্পানি নয় ইমিগ্রেশনের ভুলে এ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে কর্মীদের। শুরুতেই ইমিগ্রেশনে ১৯ জনের সঠিক তথ্য খুঁজে না পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন তাদের ভুল স্বীকা করেছে বলে জানান আবদুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এর আগে ওই কোম্পানিতে ৪০ জন কর্মী পাঠিয়েছি। এটা ছিল আমাদের দ্বিতীয় ফ্লাইট। তবে আমরা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছেন, ১৯ জনের তথ্য সার্ভারে পাওয়া গেছে, সেক্ষেত্রে কর্মীরা আবার মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন। যে ১৯ কর্মীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে পুনরায় তাদেরকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে যে খরচ হয়, তা আমাদের কোম্পানি বহন করবে। কর্মীদের কোনো অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে না বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার মিনিস্টার নাজমুছ সাদাত সেলিম বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে কেন তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, তা খোঁজ নেওয়া হবে।