গত সোমবার সন্ধ্যায় অদম্য তামান্না আক্তার নূরা মোবাইলে একটি মেসেজ দেখতে পান। মেসেজে লেখা ছিল, ‘তামান্না তুমি তো অনেক সুন্দর দেখতে। আমি তোমাকে দুইবার ফোন করেছিলাম। তোমার পরিবারে কে কে আছে? আর যা যা সহযোগিতা দরকার আমি করব। তুমি নূর, তোমার নূরের জ্যোতি, ঐশ্বরিক ক্ষমতা আল্লাহ তোমাকে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী তার স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তামান্নাকে ‘বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে’ একটা আবেদন করার পরামর্শ দেন। ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে তাকে সব সহযোগিতা দেবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তামান্নার সঙ্গে টানা চার মিনিটের কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী তাকে সাহস হারাতে নিষেধ করেন। সাহস আর মনোবল থাকলে তামান্না অনন্য উচ্চতায় পৌঁছতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তামান্নার বাবা রওশন আলী বলেন, ‘২৪ জানুয়ারি যশোরের জেলা প্রশাসকের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি লেখে তামান্না। ওর লেখা চিঠি প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তারপরে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তামান্নার আঁকা বিভিন্ন ছবিও দেওয়া হয় ওই চিঠির সঙ্গে। পরম করুণাময় আল্লাহর অসীম রহমতে তামান্নার সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা কথা বলেছেন। আশা করি সবার দোয়ায় তামান্নার স্বপ্ন পূরণ হবে।’