বিশ্বব্যাপী ৪৪টি সমালোচনামূলক ও উদীয়মান প্রযুক্তির ৩৭টির নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, জ্বালানি ও বায়োটেকনোলজির ওপর ভিত্তি করে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক "/>
Home তথ্যপ্রযুক্তি উদীয়মান প্রযুক্তিতে পশ্চিমাদের হার মানাচ্ছে চীন

উদীয়মান প্রযুক্তিতে পশ্চিমাদের হার মানাচ্ছে চীন

নিউজ ডেস্ক

by Nahid Himel

বিশ্বব্যাপী ৪৪টি সমালোচনামূলক ও উদীয়মান প্রযুক্তির ৩৭টির নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, জ্বালানি ও বায়োটেকনোলজির ওপর ভিত্তি করে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই) জানিয়েছে, পশ্চিমারা বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত বৈজ্ঞানিক ও গবেষণার দৌড়ে চীনের থেকে পিছিয়ে পড়ছে। খবর রয়টার্স।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে করা এ গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চীনেই অবস্থিত। প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই দ্বিতীয় স্থানে ছিল। যদিও দেশটি উচ্চ-কার্যকর কম্পিউটিং, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, ছোট উপগ্রহ ও ভ্যাকসিনে বিশ্বব্যাপী গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছে। অন্যদিকে চীন সরকারি উদ্যোগে উচ্চমানে গবেষণায় দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে পশ্চিমা সরকারগুলোকে বৃহত্তর গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।৷এছাড়া গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে নিরাপদ ও কৌশলগত প্রযুক্তির ধাপে এগোনোর জন্য আরো সহযোগিতামূলক আচরণ করার কথা বলা হয়েছে।

২০২১ সালে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রে চীনের আশ্চর্যজনক অগ্রগতি চীনের উচ্চ গবেষণারই ফল। গত পাঁচ বছরে হাইপারসনিকসহ উন্নত উড়োজাহাজের ইঞ্জিনগুলোয় চীন বিশ্বের উচ্চমানের ৪৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ গবেষণাপত্র তৈরি করেছে। এমনকি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাতটি তাদের অধীন।

ফোটোনিক সেন্সর ও কোয়ান্টাম যোগাযোগের ক্ষেত্রেও চীনের গবেষণা শক্তির কাছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র (ফাইভ আইজ) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নজরদারি হার মানতে পারে। সিনথেটিক বায়োলজিসহ ১০টি ক্ষেত্রে চীনের আধিপত্য রয়েছে। সব গবেষণার এক-তৃতীয়াংশ তারাই করে। একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক ব্যাটারি, ৫জি ও ন্যানো প্রযুক্তি উৎপাদন করে।

সরকারি গবেষণা সংস্থা চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস ৪৪টি প্রযুক্তি ট্র্যাকিংয়ে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ট্র্যাকিংয়ের মধ্যে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, রোবোটিক্স, জ্বালানি, পরিবেশ, বায়োটেকনোলজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, উন্নত উপকরণ ও কোয়ান্টাম প্রযুক্তি রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত বিদেশ থেকে অর্জিত জ্ঞান নিয়ে চীন তার গবেষণা জোরদার করেছে। তথ্যে দেখা গেছে, শীর্ষ চীনা গবেষকের এক-পঞ্চমাংশই ফাইভ আইজ দেশে প্রশিক্ষিত ছিল।

গবেষণায় অবৈধ প্রযুক্তি স্থানান্তর সীমিত করতে ভিসা স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের সুপারিশ এবং নিরাপত্তা মিত্রদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Comment